অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সাজেদা ফাউন্ডেশন ঢাকা, চট্টগ্রাম নগরীসহ দেশের ১৭টি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় ২ লাখ স্বল্প আয়ের মানুষকে ঋণ, সঞ্চয় ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে থাকে। নানা কারণে স্বল্প আয়ের এসব মানুষ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং পরিষেবা গ্রহণে অনেকখানি পিছিয়ে আছে। প্রধানত এদের কথা বিবেচনায় রেখে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও প্রযুক্তিনির্ভর শীর্ষ ব্যাংকিং পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ লিমিটেড’ মুঠোফোনে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ লক্ষে প্রতিষ্ঠান দু’টো গতকাল একটি দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করে। চুক্তিতে সাজেদা ফাউন্ডেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহেদা ফিজ্জা কবীর ও বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদের। এর ফলে সহজেই সাজেদা ফাউন্ডেশনের গ্রাহক সদস্যরা দেশের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বিকাশ এজেন্ট হতে ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ এবং পরিশোধসহ অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা গ্রহণে সক্ষম হবেন। এর ফলে গ্রাহকদের সময় ও খরচ যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি আধুনিক ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা পদ্ধতির সাথে পরিচয় ও ব্যবহারে অভ্যস্ততা তৈরি হবে। একইভাবে ঋণ সেবা প্রদানকারী কর্মীদের ঝুঁকি নিরসন এবং সময় ও শ্রম লাঘব হবে অনেকখানি। সব মিলে এ পরিষেবা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, মুঠোফোনভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে বিশেষ সহযোগিতা দিচ্ছেন মেটলাইফ ফাউন্ডেশন, ব্যাঙ্কেবল ফ্রন্টিয়ার এসোসিয়েটস (বিএফএ) ও রকেফেলার ফিলানথ্রপি এ্যাডভাইজরস্ (আরপিএ)। এদের প্রধান উদ্দেশ্য ন্যূনতম খরচে স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দেয়া। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিকাশ লিমিটেড’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদের বলেন, বিকাশের শক্তিশালী আর্থিক চ্যানেল ব্যবহার করে অতি সহজে সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদান সম্ভব। সাজেদা ফাউন্ডেশন এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ, যারা স্বল্প আয়ের মানুষকে কম খরচে উত্তম সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ প্রচেষ্টা একটি ডিজিটাল আর্থিক প্রতিবেশ তৈরিতেও ভূমিকা রাখবে। সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহেদা ফিজ্জা কবীর বলেন, গ্রাহক সদস্যদের সুবিধার কথা বিবচনা করেই ‘বিকাশ’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংবেদী ও সৃজনশীল সংস্থা হিসেবে সদস্যদের কল্যাণে নতুন পরিষেবা গ্রহণে সাজেদা ফাউন্ডেশন সব সময় অগ্রণী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন