বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

অভিজাত ক্রেতাদের পছন্দ বসুন্ধরা সিটি

প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী ঈদের আনন্দ একটু বাড়িয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশের এক দিনের ছুটি। এর মাধ্যমে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে বাড়তি বিক্রিও শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলছে রাজধানীর অন্যতম শপিংমল বসুন্ধরা সিটিতে। সকাল-রাত অবধি চলছে হরদম বেচা-কেনা। যে কোনো পোশাকের লেটেস্ট কালেকশনের কথা এলে এই মার্কেটটিতে তা আগে আসে। ঈদ বাজাওে ক্রেতা-আগ্রহ আর হাল ফ্যাশন বিবেচনায় রেখে প্রতিটি দোকান সেজেছে নতুন সাজে। দোকানিরা বাড়তি চাপ সামলাতে অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। একই সাথে পোশাকসহ নানা পণ্যের বাহারী নাম ও ডিজাইনের সাথে রয়েছে বিশেষ মূল্য ছাড়। যদিও এই শপিংমলে সাধারণদের উপস্থিতি কমই থাকছে। এখানে ভিড় জমছে অভিজাত শ্রেণির।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র রোজার শুরু থেকেই বাড়তি ক্রেতার ভিড় জমেছে বসুন্ধরা সিটিতে।  ক্রেতাদের মনোরঞ্জন করতে বসুন্ধরা সেজেছে বর্ণিল সাজে। বসুন্ধরার এই রঙিন সাজই বলে দিচ্ছে ঈদের আর বেশি দেরি নেই। অতিরিক্ত ক্রেতা সমাগমে তৃপ্তির হাসি দেখা গেছে বিক্রেতাদের মুখে।
এদিকে এই শপিং মলে এবারে ৫০০ টাকার পণ্য কিনলেই মিলছে স্ক্র্যাচ কার্ড। কার্ড ঘষলেই নিশ্চিত পুরস্কার। এজন্য বাড়তি ভিড় রয়েছে মলে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এক্সিলেটরগুলোর সামনে দেখা গেছে ক্রেতাদের লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। চলন্ত সিঁড়িতেও জায়গা মিলছে অনেক কষ্ট করে। শপিংমলে সেখানে নিত্য-নতুন দেশি-বিদেশি বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্রেতারা। রয়েছে পোশাক, জুতা, কসমেটিক, কুকারিজ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য। আবার ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিশেষ বিশেষ পণ্যে চলছে আকর্ষণীয় অফার। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে পোশাকের দোকানগুলোতে। মেনজক্লাব, ওটু, এক্সট্যাসি, টেক্সমার্ট, ওয়েসটেক্স, বাংলার মেলা, ইয়োলো দোকানগুলোতে দেখা গেছে, নিত্য-নতুন পোশাকের সমারোহ। দেশি দশ সেজেছে এক নতুন সাজে। সেখানকার সাদা-কালো, রঙ, কেক্রাফট, দেশাল, বিবিআনার কালেকশন চোখে পড়ার মতো। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ রকমের নতুন ডিজাইনের পোশাক সেখানে রয়েছে বলে জানালেন এক বিক্রেতা। দেশি কাপড়ের ওপর রঙিন সুতা, চুমকি, জরির কাজ করা চমৎকার রুচিশীল এ পোশাকগুলো খুব সহজেই আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমার প্রথম পছন্দ বসুন্ধরার দেশি দশ। কারণ এক ছাদের নিচে এত পোশাকের সমাহার  আর কোথাও দেখা যায় না। দেশি দশের দোকানগুলোতে মিলছে মেয়েদের লং কামিজ, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, স্কার্ট, আনারকলি, ফতুয়া, শাড়ি। ছেলেদের পাঞ্জাবি, পায়জামা, ফতুয়া, শার্ট। সাদা কালোতে রয়েছে যুগল পোশাক। এছাড়া রং, কেক্রাফট, বিবিআনা, দেশালসহ অন্যান্য দোকানগুলোতেও দেখা গেছে যুগল পোশাক। এসব পোশাকের মূল্য ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত। ছেলেদের পাঞ্জাবির মূল্য ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত।
অন্য যেকোনো মার্কেটের তুলনায় এখানে কিছুটা বাড়তি দাম। তবুও ক্রেতাদের যেন কোনো ক্লান্তি নেই। ক্রেতারা জানান, দাম কিছুটা বেশি হলেও বসুন্ধরার দেশি দশের  কালেকশন অনেক বেশি আনকমন। আর এ বছর  ঈদ যেহেতু গরমকালে সেজন্য বেছে নিয়েছি সুতি পোশাককেই।
বিক্রেতারা বলেন, রোজার মধ্যে আজকে ভিড় সবচেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন দিন যত যাবে ভিড়ের পরিমাণ তত বাড়বে। দেশি পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইন্ডিয়ান পোশাক। ইন্ডিয়ান সিনেমা আর নায়িকাদের নামানুসারে পোশাকগুলোর নাম হওয়ায় এগুলো খুব সহজেই আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের। শারারা, সুলতান, বাহুবলি, বাজিরাও মাস্তানি নামক পোশাকে ছেয়ে গেছে মলটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন