ভারতের আসামসহ বিভিন্নস্থানে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ (এনআরসি) আতঙ্ক আরো বেড়েছে। সেখানে তল্লাশী চালিয়ে বাংলাভাষী নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করা হচ্ছে। পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে। ওপারের একাধিক সূত্র এই তথ্য দিয়েছে। ভারত থেকে বাংলাভাষীদের পুশ ইন কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। নানা কৌশলে ঠেলে দিচ্ছে বাংলাভাষীদের। বৃহস্পতিবারও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তপথে ঋভপাভ ১৪জন নারী ও পুরুষকে ধাক্কা দিয়ে এপারে পাঠিয়েছে। যা সীমান্ত থেকে বিজিবি অনুপ্রবেশ হিসেবে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
কোলকাতার দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকা ৫ নভেম্বরের সংখ্যায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এনআরসি আতঙ্কে জলপাইগুড়িতে বুধবার বাহাদুরের পাখিধরার বাসিন্দা মহম্মদ শাহাবুদ্দিন নামে একজন কাঠাল গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ৭০ বছরের ওই ব্যক্তি পালাটিয়া ও মুর্শিয়া গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিবারের দাবি, কয়েকদিন ধরে তিনি এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই আশঙ্কা থেকেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। পত্রিকাটি লিখেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে বারবারই আশ্বস্ত করার পরও ভয় কাটছে না। পরিবার বলেছে, মাঝেমধ্যেই সকলের কাছে এনআরসির চিন্তার কথা ওই বৃদ্ধ প্রকাশ করতেন যে, নাগরিক হিসেবে নিজেদের যথাযথ প্রমাণপত্র দিতে পারবেন কি না। পরিবারের দাবি, সেই চিন্তা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ওপারের সূত্র জানায়, এনআরসি আতঙ্কে তুলকালাম ঘটছে।আমনবিক আচরণ করা হচ্ছে বাংলাভাষীদের সঙ্গে। কখন কাকে আটক করবে-এমন আতঙ্ক আরো বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন