শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের অভুক্ত রাখেন না। তবুও আপনারা বোঝেন না। কথায় কথায় আন্দোলনের ডাক দেন। ধর্মঘট করেন। কেন? খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে কে? শেখ হাসিনা। দৌলতপুর মিলসহ সকল বন্ধ কলকারখানা খুলে দিয়েছেন তিনি।’
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আন্দোলন থেকে শ্রমিকদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বেতন ভাতা বাকি আছে একথা বলতে পারবেন না। হয়তো দু'দিন আগে, নয়তো দু'দিন পরে বেতন হয়। অতএব আন্দোলন বন্ধ করুন। উৎপাদনে মনোনিবেশ করুন।’
উল্লেখ্য, পাট খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে।
আর মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিকরা। আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে খালিশপুর শিল্প এলাকার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা শিল্প এলাকার আলীম, ইস্টার্ন এবং নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার জেজেআই জুট মিলের শ্রমিকরা। স্ব-স্ব পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের স্বাগত বক্তৃতায় খুলনার উন্নয়নের দাবি তুলে ধরলেন নগর শাখার সভাপতি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, খুলনা আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আ’লীগ যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তখন দেশের উন্নয়ন হয়। বিশেষ করে খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। তিনি বলেন, খুলনা-যশোর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে। খুলনা-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবি খুলনাবাসীর।
সম্মেলনের সঞ্চালনা করছেন নগর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী। সম্মেলনের কাউন্সিল পর্ব বিকেল ৩টায় খুলনার অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জেলা ও নগর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের লিখিত আবেদনপত্র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপনের কাছে জমা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন