বরিশাল নৌবন্দর এলাকায় শনিবার রাতে প্রায় দু হাজার টনের ক্লিঙ্কার বহনকারি ডুবে যাওয়া পণ্যবাহি নৌযানটি উদ্ধার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে বরিশাল নদী বন্দরের নিরাপদ পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ৪টি উদ্ধারযানের সর্বমোট উত্তোলন ক্ষমতা মাত্র ৬২০ টন। ফলে ৪টি উদ্ধারযানের সম্মিলিত উদ্যোগেও ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধার সম্ভব নাও হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন।
কার্গো উদ্ধারে ব্যর্থ হলে বরিশাল বন্দরে নৌযান চলাচল মারাত্মক ঝুঁকির কবলে পড়বে । বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুবুল ইসলাম-বিএন রোববার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু জানিয়েছেন, কার্গোটি নৌপথের মূল চ্যানেলে ডুবেছে। এটি সরানো না গেলে চ্যানেল ঝুঁকির কবলে পড়বে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল ডিসি ঘাট এলাকায় বরগুনা থেকে ঢাকাগামি যাত্রীবাহি লঞ্চ শাহরুখ-২’এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ক্লিঙ্কার বোঝাই কার্গোটি ডুবে যায়। কার্গো নৌবন্দর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীর তীরে অ্যাংকর সিমেন্ট কোম্পানির ক্লিঙ্কার নিয়ে আসছিল। রোববার বেলা ২টায় দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কার্গোর সামনের দিক পুরোপুরি পানির নিচে এবং পেছনের দিকের কিছু অংশ পানির ওপর জেগে আছে। এর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে বরিশালে অবস্থানরত উদ্ধারযান ‘নির্ভিক’। আইডব্লিউটিএ’র অনুরূপ অপর একটি উদ্ধারযানেরও উত্তোলন ক্ষমতা ২৫০ টন। এছাড়া ‘হামজা ও ‘রুস্তম’ নামের অপর দুটি উদ্ধারযানের সক্ষমতা হচ্ছে ৬০ টন করে। ফলে সবগুলো উদ্ধারযানের সম্মিলিত চেষ্টায়ও ডুবে যাওয়া ১৮শ টনের কার্গো তোলা সম্ভব হবেনা। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারি জাহাজ নির্ভিকের সর্বোচ্চ আড়াই শ’ টন উত্তোলন ক্ষমতা রয়েছে। ১২শ’ টন ক্লিঙ্কার বোঝাই জাহাজের ওজন আরও ৬শ’ টন। এটি ডুবে যাওয়ার পর এখন প্রায় ২ হাজার টন ওজন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারি জাহাজের ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধারের সক্ষমতা নেই। তাই কার্গোর মালিকপক্ষকে ১ মাসের মধ্যে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্গো উদ্ধারের জন্য বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা উদ্ধারে ব্যর্থ হলে কার্গোটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন