বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রæপ রাউন্ডে প্রথম ২ ম্যাচ জিতেও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে হেরে নেট রান রেটে পিছিয়ে পড়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধŸ-১৯ দলের ঠিকানা হয়েছে প্লেটে। সেই হতাশা এখনো ভুলতে পারেননি অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার আর নেট রান রেটের হিসাব মেলানোর পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না বাংলাদেশ অনূর্ধŸ-১৯ দলকে। মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধানে পাশের ভেন্যুতে নামিবিয়ার উৎসবের পর নিজেরাও মেতে উঠেছে উৎসবেÑ তাতেই ‘এ’ গ্রæপ থেকে নামিবিয়ার সঙ্গে সুপার লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধŸ-১৯ দলের। গতকাল স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে মিরাজের চোখ এখন গ্রæপ চ্যাম্পিয়নের দিকে। ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধŸ-১৯ দলের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়, ১৪টি মুখোমুখি লড়াইয়ে জয় মাত্র ১টিতে, হার সেখানে ১৩টিতে। গত নভেম্বরে কলকাতায় ত্রিদেশীয় অনূর্ধŸ-১৯ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ফাইনালসহ ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে গেছে মিরাজরা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাই ভারতকে এড়াতে আগামীকাল নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিকে ফাইনাল বলে গণ্য করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধŸ-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজÑ ‘দুঃখজনকভাবে সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার লিগে খেলতে পারিনি। এবার এক ম্যাচ হাতে রেখে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠায় তাই ভালো লাগছে। গ্রæপ রাউন্ডের শেষ ম্যাচটা আমাদের জন্য একধরনের ফাইনাল। ওই ম্যাচটি জিততে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে পাব, আর হেরে গেলে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে। তাই গ্রæপ রাউন্ডের শেষ ম্যাচটি জিততে চাই।’
ধীরগতির শুরুর পর শেষ পর্যন্ত স্কোর ২৫৭/৬। ইনিংসের শুরুতে রানের জন্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ধুঁকেছে ওপেনার সাইফের ব্যাটিংয়ে। হাঁ ভলি বল পর্যন্ত করেছেন ডট এই ওপেনার। দলকে ফেলে দিয়েছেন চাপের মধ্যে। ১৩তম বলে প্রথম রান, ১০৮ বলে ৪৯Ñওয়ানডে ক্রিকেটের রসায়নটাই যেন ভুলিয়ে দিয়েছেন এই ওপেনার। তবে সাইফকে এমন ব্যাটিংয়ের নির্দেশনাই নাকি দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, সেটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজÑ ‘এই উইকেটটি শুরুতে খুব ¯েøা ছিল। প্রথম দশ পনের ওভারে যদি ওভারপ্রতি ৩ করেও হয়, তাতেও আপত্তি নেই, এটাই ছিল টিম প্ল্যান। সাইফকে বলা হয়েছিল, ওর উইকেটটি যেনো না যায়। তাই ও এভাবে খেলেছে। ও কিন্তু বড় শট খেলতে পারে। উইকেট এবং কন্ডিশন ঠিক থাকলে সে রকমই দেখা যাবে তাকে। ও লম্বা সময় উইকেটে ছিল বলেই কিন্তু আমি এসে মারতে পেরেছি। হাতে প্রচুর উইকেট ছিল বলেই স্ট্রাইক রোটেড করতে পেরেছে শান্ত।’
প্রথমে ব্যাট করে স্কোর ২৫৭/৬ পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেই নির্ভার ছিলেন মিরাজÑ ‘এই উইকেটে ২২০ করলে আমরা জিতে যাব, এমন বিশ্বাসই ছিল। কারন এই উইকেটে ২২০ রান অন্য মাঠের ২৭০ রানের মতো।’ এই ম্যাচে রান সংগ্রহে শান্ত অনূর্ধŸ-১৯ ক্রিকেটারদের সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় বন্ধুকে অভিনন্দিত করেছেনÑ ‘শান্ত-আমি ৬ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। মনে-প্রাণে চাচ্ছিলাম ও রেকর্ড করুক, সেঞ্চুরি করুক। ও যখন রেকর্ড করল, তখন মনে হলো আমিই বুঝি রেকর্ড করে ফেললাম।’
রেকর্ডের ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং ম্যাচ শেষ করে আসতে পারায় দারুণ খুশি শান্তÑ ‘সবসময় এরকম পরিস্থিতি আসে না। চেষ্টা করি সবসময় এরকম পরিস্থিতি আসলে দলটাকে ভালো একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া। এর আগে অনেক পরিস্থিতি ব্যাটিং করেছি কিন্তু ফিনিশ করতে পারিনি। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারিনি, এই ম্যাচে পেরেছি। সেঞ্চুরির জন্য তিন ওভার পেয়েছিলাম, তা কাজে লাগিয়েছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন