অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ প্রত্যাহারের গণরায় ইতোমধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যেটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইউরোপের ব্যবসায়িক কর্মকা-ের চলমান অগ্রগতির ধারাকে ব্যাহত করতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে আয়োজিত বাজেটবিষয়ক এক সংলাপে বক্তারা এই কথা বলেন। সংলাপটি যৌথভাবে আয়োজন করে বিল্ড, ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ইনস্পায়ার্ড।
সংলাপের আলোচানায় বক্তারা বলেন, বেক্সিট-এর ধাক্কা বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধার আওতায় পণ্য রপ্তানী এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের ধারাকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি, বিশেষকরে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যুক্তরাজ্য কর্তৃক বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হতে পারে। তারা আরোও মনে করে, বেক্সিট ঘটনার ফলে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা ও বৈশ্বিক মুদ্রাবাজার ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রবনতা ও মন্দা অবস্থার সম্ভাবনা রয়েছে, পাশপাশি অন্যান্য মুদ্রার সাথে পাউন্ড-এর বিনিময় হার কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। যদিও ইতোমধ্যে ডলারের বিপরীতে পাউন্ড ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ৩ শতাংশ কমেছে, যেটির ধারা বাংলাদেশ কে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কে আরো ঘনীভূত করবে।
তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট তৈরি পোষাক রপ্তানির ৫৫ শতাংশ ইইউ ভুক্ত দেশগুলোতে ও ১২ শতাংশ যুক্তরাজ্যে গিয়ে থাকে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের এ অবমূল্যায়ন বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহে মন্দাবস্থা তৈরী করতে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের ইইউ জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোষাক খাত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তাতেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
এই সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক) ফরিদ উদ্দিন, এনবিআরের সাবেক চেযারম্যান আব্দুল মজিদ, বিল্ড’র সিইও ফেরদৌস আরা বেগম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের সদস্য লুনা শামসুদ্দোহা। আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন রশিদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন