রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

স্বীকৃতি পেলেন দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি জয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:০৭ পিএম

বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন জয়া চাকমা। চার মাস আগে পরীক্ষায় পাশ করে ফিফা রেফারির নিশ্চিতা পেলেও অপেক্ষা ছিল কেবল বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির। সেটাও ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন রাঙ্গামাটির যুবতী জয় চাকমা।

জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় জয়ার সঙ্গে সালমা ইসলাম মনিও ফিফা রেফারি হওয়ার পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। কিন্তু মনির বয়স ২৩ বছরের কম হওয়ায় আগামী বছর আবার তাকে পরীক্ষা দিতে হবে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় জয়াসহ পাঁচজন নারী ফিফা রেফারি আছেন। দুই জন ভারতের রঞ্জিতা ও রুবা দেবি এবং একজন নেপালের অস্মিতা ও অন্যজন ভুটানের চুকিউম।

রেফারি পরীক্ষায় পাস করার আগেই কোচ হয়েছেন জয়া। এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স করেছেন। এখন তার লক্ষ্য দেশের বাইরে গিয়ে কোচিংয়ের উপর এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স অর্জন করা। একাধারে কোচ ও রেফারি। সদ্যই হয়েছেন ফিফা রেফারি। ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও মাঠে খেলা পরিচালনা- দুটোকেই দারুণ উপভোগ করেন জয়া চাকমা। কোচ হিসেবে চাকরি করছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য গত ১০ বছর ধরে পরিশ্রম করছিলেন জয়া। অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এর আগে দুইবার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি তিনি।

এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন,‘ফিফা রেফারি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর আমার যে কি ভালো লাগছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। টানা ১০ বছর ধরে দৌঁড়াচ্ছি। এর মধ্যে দু’বার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারিনি। এবার আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এর চেয়ে ভালো খবর আমার জীবনে আর কি হতে পারে? আমার চেষ্টা থাকবে এটা ধরে রাখার। আগামী বছর ২০২১ সালের জন্য যে পরীক্ষা হবে তাতেও পাশ করতে চাই।’ তিনি যোগ করেন,‘আমার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের নারী ফুটবল উন্নয়নে কাজ করা। আমি ফুটবল খেলেছি। মাঠে পারফরম্যান্স করেছি। তাই মাঠের মধ্যে থাকতেই আমার বেশি ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই রেফারিংয়ের প্রতি আমার আলাদা টান জন্মেছে।’ তিন বোনের মধ্যে সবার বড় জয়া চাকমা। বয়স ২৮ বছর। কিন্তু এখনি বিয়ের কথা ভাবছেন না। তার কথায়,‘ কেবল তো ফিফা রেফারি হলাম। তাই এখনো বিয়ের কথা ভাবছি না। তিন বছর পর ভেবে দেখবো। এই সময়ের মধ্যে ছোট বোনদের বিয়ের প্রস্তাব আসলে বাবা-মাকে বলবো তাদের বিয়ে দিতে।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন