স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের ওয়ানডে ব্যর্থতার ঠিক বিপরীত চিত্রই যেন ফুটে উঠল টি-টোয়েন্টি সিরিজে। টি-২০’র নিয়মিত অধিনায়ক অ্যরোন ফিঞ্চের অনুপস্থিতিতে অজিদের এদিন নেতৃত্ব দেন শেন ওয়াটসন। ফর্মের সাথে লড়তে থাকা এই বিধ্বংসি অল-রাউন্ডার দলের দায়িত্ব পেয়েই কাঁধটাকে করে ফেললেন চওড়া। টস জিতে ব্যাট বেছে নিয়ে ১৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন দুর্দান্ত এক শতকের মাধ্যমে। তা সত্বেও বোলিং ব্যর্থতায় দলকে হার মানতে হল ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
বড় লক্ষ্যের শুরুটাও বেশ ভালোভাবেই করে ভারত। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে শেখর ধাওয়ান (৯ বলে ২৬) ফেরার আগে ৩.২ ওভারে দলের রান ৪৬। এরপর বিরাট কহলির সাথে ৫৫ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা। ৩৮ বলে রোহিত ফেরেন ৫১ রান করে। ৩৬ বলে অর্ধশতক করে কোহলি যখন ফেরেন জয়ের জন্য তখন সফরকারীদের দরকার ৩১ বলে ৫১ রান। সুরেশ রায়না (২৫ বলে ৪৯) ও যুবরাজ সিং (১২ বলে ১৫) সেটা পেরিয়ে যান বটে, তবে উত্তাপ ছড়ায় ম্যাচের শেষ ওভার। ৬ বলে তখন দরকার ১৭ রান। প্রথম দুই বলে চার ও ছ’য়ে সেটা সহজ করে তোলেন দলে ফেরা যুবরাজ। শেষ বলে ২ রানের চাহিদা রাইনা পুরন করেন বাউন্ডারি হাকিয়ে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ অজিরা হেরে বসে কোন জয়ের স্বাদ ছাড়াই। ম্যাচ সেরা হন ৭১ বলে ১০ টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ওয়াটসন। আর তিন ম্যাচে ১৯৯ রান করে সিরিজ সেরা হন কোহলি।
এই ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের তালিকায় অ্যারন ফিঞ্চের পরেই নিয়ে এসেছে ওয়াটসনকে। ২০১৩ সালে সাউথহ্যাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৬ রান করে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের রেকর্ড ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে ১২৩ রান করে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন ম্যাককালাম। তবে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন তারই। আগের সর্বোচ্চ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসির।
এই সিরিজ জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল এক লাফে উঠে এসেছে শীর্ষে। ১১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন জয়ে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে দলটি। ১১৮ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। টানা তিন হারে এখন অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১১০। অবস্থান ভারত যেখানে ছিল সেই আট নম্বরে।
৬৪ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আইসিসির সহযোগী দুই দেশ আফগানিস্তান (৮০) ও স্কটল্যান্ড (৬৬) মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন