শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সোলাইমানিকে হত্যা করা চরম ভুল : এরদোগান

স্থিতিশীলতা আনয়নে লিবিয়ায় তুর্কি সেনা মোতায়েন শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম

মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেন, সোলাইমানিকে হত্যা করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চরম ভুল হয়েছে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আঙ্কারা তেহরানের পাশে রয়েছে বলে রুহানীকে আশ্বস্ত করেন এরদোগান। রোববার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানীর সঙ্গে ফোনালাপে জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেন। সউদী সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপকালে জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ‘শাহাদাত’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শহীদ সোলাইমানির মৃত্যুতে আমি ব্যথা অনুভব করছি, একইসঙ্গে ইরানের জনগণ, প্রধান ধর্মীয় নেতা এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষোভ ও শোক অনুমান করছি। সোলাইমানির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা নিয়েও ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন এরদোগান। তিনি বলেন, ইরাকে অনুষ্ঠিত জেনারেল সোলাইমানির জানাজার দৃশ্য আমি দেখেছি, অসংখ্য জনস্রোত ইরাকেও তার অধিক জনপ্রিয়তার সাক্ষ্য দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। আল-আরাবিয়া আরবি এ খবর জানিয়েছে। পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পর লিবিয়ায় সেনা মোতায়েন শুরু করেছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিপ এরদোগান বলেছেন, তার সেনাদের কাজ হবে ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ)কে সহায়তা করে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। তবে এ নিয়ে সতর্কতা উচ্চারণ করেছে ইসরাইল, গ্রিস ও সাইপ্রাস। তারা তুরস্কের এমন উদ্যোগকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি এক বিপজ্জনক হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছে এবং সতর্ক করেছে এই বলে যে, এর মাধ্যমে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। জেনারেল খলিফা হাফতারের অধীনে যুদ্ধ করছে বিদ্রোহীরা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে লিবিয়ার জিএনএ সরকার। জেনারেল হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অন্যদিকে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক ও তার মিত্র কাতার। হাফতারের বিদ্রোহী বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা করছে। শনিবার একটি সামরিক একাডেমিতে বিমান হামলার জন্য তাদেরকে দায়ী করা হয়। ওই হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। তবে বিদ্রোহীরা এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। লিবিয়ায় সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, তাদের দায়িত্ব হবে সমন্বয় করা। সেখানে অপারেশন সেন্টারের উন্নয়ন করবে তারা। আমাদের সেনা লিবিয়া যাওয়া শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ করার উদ্দেশ্য নেই তুরস্কের। তবে তারা সেখানে বৈধ সরকারকে সমর্থন দেবে এবং মানবিক ট্রাজেডি এড়ানোর চেষ্টা করবে। ওদিকে কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসছে। এর আগে তুরস্ক পার্লামেন্টের এমপিরা গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ায় সেনা মোতায়েনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩২৫টি। বিপক্ষে ১৮৪টি। এরদোগান জানিয়েছেন, তার কাছে সামরিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে ত্রিপোলি থেকে। তবে কি মাত্রায় বা কি পরিমাণে সামরিক উপস্থিতি থাকবে লিবিয়ায় সে বিষয়ে তুরস্ক সরকার বিস্তারিত জানায় নি। আল-আরাবিয়া, বিবিসি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Md Dewan Dewan ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
কাসেম সুলাইমান ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় হিটলার, তার পরিকল্পনায় বুলেট বোমার আঘাতে ইরাক সিরিয়ায় কয়েক লাখ সুন্নি মুসলিমদের হত্যা করেছিল, আল্লাহর কি সু্ন্দর বিচার,আজ সুলেমানীকে বোমার আঘাতেই মৃত্যু বরণ করতে হলো?
Total Reply(0)
Anisul Mustafa Hridoy ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
ধন্যবাদ সুলতান এরদোগান ওরা হত্যার সময় বিবেচনা করেনি মিসরের হাফেজ মুরসি সুন্নি ছিল কিংবা ইরানের হাজ্বি সুলাইমানি শিয়া ছিল। কাফেররা হত্যা করে কেবলই #মুসলমান হিসাবে।
Total Reply(0)
MD Bellal Sikder ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
যুদ্ধের পরিণতি সকলের জানা আছে , তবে যেহেতু আমেরিকার খেপাটে প্রেসিডেন্ট এই রিস্ক এর সুচনা করেছেন , খেসারত দিতে হবে আর আর ইরানের জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম এর অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের মতো না। শুধু অস্ত্র নিয়ে মূলত যুদ্ধ হয় না মনোবল লাগে। অতএব যে সব দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি স্থাপন রয়েছে সে ই সব রাষ্ট্রের জনগণের মনোভাব আমেরিকার বিপক্ষে অতএব এখন সাময়িক যুদ্ধে আমেরিকার সফলতা অর্জন করলেও অদুর ভবিষ্যতে আমেরিকার জন্য কঠিন দুর্দিন অপেক্ষা করছে। ইনশাআল্লাহ
Total Reply(0)
Foaiz Ahammad ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 1
আমেরিকা ইসরাইলের মত ইরান ও আমাদের শক্র। কারণ আমেরিকা ইসরাইল যত সুন্নী মারছে তার চেয়ে বেশি মারছে ইরান। ইরান সবসময় ইসরাইলের সাথে তাদের গুপ্ত সম্পর্ক রাখে। কিন্তু সালমানের টেকনিকে এখন ইরান ধরা খেল যা মধ্যপ্রাচ্য সুন্নী মুসলিমের জন্য মং্গলজনক। এই এরদেগান ও ইরানের মত আমেরিকা রাশিয়া ইসরাইলের সাথে তাল মিলিয়ে চলে আর মাঝে মাঝে এভাবে গলাবাঝি করে ইখওয়ানির চামচারা তা দেখে তৃপ্তি নেয়।
Total Reply(0)
MD Maruf Billah ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য অনিবার্য। সকল বিভেদের উর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা সকল জুলুমের অবসান ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।আশা করি তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, কাতার, তিউনিসিয়ার মতো রাষ্ট্র গুলো মুসলিম বিশ্বকে ভালো কিছু উপহার দিবে ।
Total Reply(0)
Mohammed Idris Mehs ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
মুসলিমদের প্রথমে সৌদি আর ইরানকে এক টেবিলে আনতে হবে তারপর সারা মুসলিম জাতির শান্তি প্রতিষটা হবে নচেৎ কিছুই হবেনা।মুসলিম দেশগুলোতে অশান্তির মূলে এদের ধর্মীয় ইগু।
Total Reply(0)
Sanaul Haque ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
কাফেরদের এটাই টারগেট কাসেম ছোলাইমানি ছিল বিশ্বের এক নাম্বার জেনারেল সে অনেক বুদ্ধিমান লোক ছিল তাই বলে আমেরিকার সয্য করতে পারে নাই তাকে মেরে ফেললো কাসেম ছোলাইমানির পায়ের সমতুল্যও না ডোনাল ট্রাপ
Total Reply(0)
Md. Abdur Razzak ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১০:৪০ এএম says : 0
আমাদের সবার আগে শিয়া-সুন্নি বিভেদ দূর করা দরকার, আসলে শিয়া-সুন্নির মাঝে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই । যারা ইসলাম বোঝে এবং খাটি মুসলিম তারা শিয়াদের ঘৃনা করেনা, আল্লাহ আমাদের একমত হওয়ার তাউফিক দান করুন, আমীন ।
Total Reply(0)
বাবু ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
ইসলামের মুল ২ দুশমন হল ইহুদি আর শিয়া। উমর (রাঃ) ঘটনা থেকে আজ অবদি যত দুঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এর পিছনে এই ২ দুশমন কাজ করেছে। ইরানের শিয়ারা কাফের
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন