শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সৌম্যের ব্যাটে চড়ে কুমিল্লার জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:২৭ পিএম

১৪১ রান নিয়েও ম্যাচ দারুণ জমিয়ে দিয়েছিল সিলেট থান্ডারের বোলাররা। পাওয়ার প্লে’তে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স তোলে ২ উইকেটে মাত্র ১৬ রান। ১৩ ওভারে উঠল মাত্র ৬৬ রান। কিন্তু একপাশ আঁকড়ে উইকেটের গুণাগুণ অনুযায়ী দক্ষতার সঙ্গে ব্যাট করে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক দাউদ মালান। আর সৌম্য সরকার ৩০ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করে দলকে এনে দিলেন অনেক প্রয়োজনের এক জয়।

৫ উইকেটের এই জয়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স এখনো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শেষ চারে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াল ১০। খুলনাকে ছুঁয়ে ফেলল তারা। তবে খুলনা টাইগার্স ১০ পয়েন্ট পেয়েছে ৯ ম্যাচ খেলে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শেষপর্বের প্রথম ম্যাচই যেন জানিয়ে দিল মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ফিরেছে পুরনো চেহারায়-স্পিন উইকেটের দিনে!

সিলেট তাদের ইনিংসের পুরোটা সময় জুড়ে এখানে কষ্টকর কায়দায় রান তুলে। ৫ উইকেটে পায় তারা ১৪১ রান। কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই দলের ইনিংসে। ৪০ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ওপেনার আব্দুল মজিদ। রান তাড়ায় নেমে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ঠিকই টের পায় মিরপুরের এই স্পিন সহায়ক উইকেটে সিলেট থান্ডারের ১৪১ রানই অনেক বড় স্কোর! সিলেটের দুই অফস্পিনার নাঈম হাসান ও সোহাগ গাজী কুমিল্লার ইনিংস কাঁপিয়ে দেন। নাঈম হাসান ২১ রানে পান ৩ উইকেট। সোহাগ গাজীর ৪ ওভারে খরচা মাত্র ১৬ রান।

উভয়প্রান্ত থেকে সিলেটের স্পিনাররা চেপে ধরে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ব্যাটিং লাইনকে। কিন্তু অধিনায়ক ডেভিড মালান ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৯ বলে ৫৮ রান করে কুমিল্লাকে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেন। পেসার দেলোয়ার হোসেনের করা ইনিংসের ১৪ নম্বর ওভারে ম্যাচটা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় কুমিল্লা। তিন ছক্কায় দেলোয়ারের সেই ওভার থেকে কুমিল্লা তুলে নেয় ২১ রান। সেই ওভারেই রান ও বলের ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনে তারা।

৫৮ রান করে মালান যখন আউট হন তখনো ম্যাচ জিততে কুমিল্লার চাই ৩৮ রান। হাতে বাকি ২৫ বল। শেষ দুই ওভারে সেই সমীকরণ আরো কমল। প্রয়োজন দাঁড়াল ১৫ রানের।

সৌম্য সরকার ১৯ নম্বর ওভারে পেসার এবাদত হোসেনকে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে আদায় করে নিলেন ১১ রান। শেষ ৬ বলে ৪ রান করলেই ম্যাচ কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। জনসন চালর্সের করা সেই ওভারের প্রথম বলেই সৌম্য বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কুমিল্লাকে এনে দিলেন ৫ উইকেটের জয়। ম্যাচের জয়ের সঙ্গে মাত্র ৩০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সৌম্যের হাফসেঞ্চুরিও হলো পুরো। ম্যাচের নায়ক এই বাঁহাতিই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

সিলেট থান্ডার : ২০ ওভারে ১৪১/৫ (ফ্লেচার ২২, আব্দুল মাজিদ ৪৫, চার্লস ২৬, মিঠুন ১৮, মেন্ডিস ২৩, ডেডিভ ভিসা ২/৩১, আল আমিন হোসেন ২/৩০)।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৯.১ ওভারে ১৪২/৫ (মালান ৫৮, সৌম্য সরকার ৫৫*, নাঈম হাসান ৩/২১, এবাদত ১/২৬)।

ফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: ডেভিড মালান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন