বিশেষ সংবাদদাতা : শ্রীলংকা ক্রিকেটের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, পাকিস্তানের কাছে টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ার পর। বিপিএল ‘থ্রি’তে চিটাগাং ভাইকিংসের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন শ্রীলংকান মারভান আতাপাত্তু। সেই ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশকে চেনেন, জানেন। শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ঢাকায় খেলেছেন, খেলেছেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে। বাংলাদেশ সফরে শ্রীলংকার প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন, কখনো ক্রিকেটার, কখনোবা কোচ হয়ে। সেই আতাপাত্তুর বাংলাদেশ মিশন এবার জিম্বাবুয়ে দলের ব্যাটিং পরামর্শক। এক সময়ে যে গুরুর অধীনে খেলেছেন, সেই হোয়াটমোরের কোচিং স্টাফের সদস্য তিনি। আপাতত: ১০ দিনের মেয়াদে ব্যাটিং পরামর্শক তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় থাকা আতাপাত্তু বাংলাদেশ দলের পরিবর্তন দেখে রীতিমতো বিস্মিতÑ ‘আমার মনে হয়, তারা বিশ্বাস করে, যে কেনো পরিস্থিতিতে তারা জিততে পারে। এটাই মূলত তাদের বড় মন্ত্র। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলার সময় থেকে এটাই আমার দেখা বড় পরিবর্তন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দল খুব উঁচুতে অবস্থান করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ খুবই উঁচু পর্যায়ে আছে। ঘরের মাটিতে তারা যে কোন দলকে হারাতে পারে।’
ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে অবসর নিয়ে শ্রীলংকার কোচ, লম্বা সময় শ্রীলংকা ক্রিকেটের সঙ্গে কাটিয়ে এখন ভাগ্যান্বেষনে আতাপাত্তু। তবে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দলকে বদলে দেয়ার কাজটা অসম্ভব বলেই মনে করছেন আতাপাত্তুÑ ‘শ্রীলংকা ক্রিকেটের সঙ্গে ২৫ বছর কাটিয়ে দেয়ায় পরিবার-পরিজনকে সময় দিতে পারিনি। তাই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এই সিরিজের শেষ পর্যন্ত আছি। ডেভের সঙ্গে কাজ করছি, তাকে আমি অনেক বছর ধরেই চিনি। সব সময়ই আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। সে দারুণ মানুষ। তার সাথে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। একই সঙ্গে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বিনিময় করার এটা দারুণ সুযোগ। আগামী ১০ দিন আমি তাদের কৌশলগত দিকগুলোতে সাহায্য করব। তবে ১০ দিন যথেস্ট নয়। দশ দিনে কোন দলকে বদলে ফেলা যায় না। ’
টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে স্মার্ট ব্যাটিং করতে পারেনি বলে আতাপাত্তু মনে করছেন। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে স্মার্ট ব্যাটিংটাই তার লক্ষ্যÑ ‘আমরা স্মার্ট ব্যাটিং করতে পারিনি। এটা শুধরে নিতে হবে। কালকের (আজকের) ম্যাচে আরো ভালো করার চেষ্টা করব। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভাল খেলাই এখন আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন