রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ওয়ালিয়া-লালপুর সড়ক অসংখ্য গর্ত জনদুর্ভোগ চরমে

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কের পিচ-কার্পেটিং উঠে নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া-লালপুর ১৫ কিলোমিটার প্রধান সড়কটি বর্তমানে চললাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
রাস্তাজুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য ছোট-বড় গর্তগুলিতে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদায় লুটোপুটি খাচ্ছে এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চলাচলের বিকল্প কোন পথ না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে খানাখন্দ ও কাঁদা-পানি মাড়িয়ে এই সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। মাঝে মধ্যেই রাস্তার বিকল হয়ে পড়ছে যানবাহন। তবে দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির এই বেহল দশা থাকলেও পুনরায় সংস্কারের জন্য কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌষের সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক জুুড়ে কাঁদায় মাখামাখি অবস্থা। কাঁদা পানি মাড়িয়েই হেলে-দুলে চলাচল করছে যানবাহন। ওয়ালিয়া-লালপুর সড়কটির ওয়ালিয়া থেকে গোপালপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় শতাধিক বড়-বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। একই চিত্র গোপালপুর রেলগেট থেকে লালপুর ত্রিমোহনী মোড় পর্যন্ত। এছাড়াও সড়কের গর্তে গাড়ির চাকা আটকে দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, এই সড়কটি দিয়েই লালপুরের একমাত্র শিল্পকারখানা নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস, লালপুর উপজেলা পরিষদ, লালপুর থানা, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর ফায়ার সার্ভিস, গোপালপুর পৌরসভা, লালপুর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও লালপুর স্টেডিয়ামে যাতায়াত করতে হয়। সরকারি-বেসরকারি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ ১০ বছর সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কের সৃষ্ট গর্তগুলিতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় লুটোপুটি খায় আর শুকনো মৌসুমে ধুলোয় জনদুর্ভোগ চরমে উঠে।
এসময় অটোচালক মনিরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন, রাস্তটি সংস্কার হবে বলে দীর্ঘদিন পার হলেও সংস্কার না করায় সড়কটি এখন চলাচল অনুপযোগী। রাস্তাদিয়ে যাওয়ার সময় ধুলায় গা ভরে যায় আর বৃষ্টি হলেই গর্তগুলিতে পানি জমে থাকে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত আছে, গাড়ির চাকা গেলেই উল্টে যায়। নতুন পুরাতন নেই এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলালেই নষ্ট হয়ে যায়। গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল রানা আহম্মেদ, জাইদুল ইসলাম, পথচারী, হাসিবুল ইসলাম, সোহান আলীসহ আরো অনেকে বলেন, রাস্তদিয়ে চলাচল করা যায়না তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। অসুস্থ ও প্রসুতিরোগীদের চলাচল করা খুবই কষ্টকর। এ ব্যাপারে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম জাবেদ হোসেন তালুকদার ইনকিলাবকে বলেন, পানি নিষ্কাশনের সমস্যার কারণে রাস্তাটি টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এছাড়াও মেইনটেনেন্সের আওতায় রাস্তটিতে কিছু কাজ করা হবে এজন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। তবে নাটোর জেলা সড়ক প্রকল্পের মধ্যে রাস্তাটির প্রকল্প দেওয়া আছে পাশ হলে রাস্তটি পূর্ণ সংস্কার করা হবে তবে সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন