দেশের ১৩ অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে জারিকৃত রুলের চূড়ান্ত শুনানি ২৮ জানুয়ারি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জুয়াসহ অবৈধ ইনডোর গেম, যেমন- কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনও খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনও বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না-জানতে চাওয়া হয় রুলে। ৪ বছরেও ওই রুলের শুনানি হয়নি। রিটে উল্লিখিত ক্লাবগুলো হচ্ছে, ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব এবং খুলনা ক্লাব।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। ঢাকা ক্লাবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এর আগে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুক জনস্বার্থে ওই রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, ঢাকা মেট্টোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনও প্রকার জুয়া খেলা দন্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ হওয়া জরুরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন