বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ২৫ রানের ইনিংসেই থমকে গেছে শাহরিয়ার নাফিসের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। ২০১৩ সালে হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯ও১১ রানের ইনিংসের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পথটাই যেনো হয়ে গিয়েছিল তার রুদ্ধ। জাতীয় লীগের সর্বশেষ আসরে করেছেন সর্বোচ্চ ৭১৫ রান, তার এমন পারফরমেন্সে দ্বিতীয় স্তর থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম স্তরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বরিশাল বিভাগ। তাতেও নির্বাচকদের মুগ্ধ করাতে পারেননি শাহরিয়ার নাফিস। ভাগ্যের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম এবং একমাত্র হাজার রানের এই গর্বিত সদস্য। সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে ১০ ম্যাচে ৩৫০ রানেই নির্বাচকরা ফিরিয়ে এনেছেন হারিয়ে যাওয়া এই বাঁ হাতি টপ অর্ডারকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজকে সামনে রেখে গতকাল ঘোষিত ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলে নিজের নাম দেখে বিস্মিত হয়েছেন শাহরিয়ার নাফিসÑ ‘হঠাৎ করে আকস্মিক একটা খবর পেলাম। বলতে পারেন আমি নিজেও এমন খবরে বিস্মিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোটামুটি ভালোই খেলার পরও আমাকে নিয়ে সেভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। তাই অনেকদিন পর এমন সংবাদ পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে। আসলে গত তিন বছর ধরে তেমন একটা আলোচনায় ছিলাম না। হঠাৎ করে এমন সুযোগ পাওয়াটা খুবই আকস্মিক ব্যাপার।’
এদিকে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটিতে তিন সদস্যের নির্বাচকমÐলী প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে প্রাথমিক দল গঠনে মতামত নিয়েছেন কোচ, ম্যানেজারের, পরবর্তীতে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দল নিয়েÑতা জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান আকরাম খান। বিসিবি’র গাইড লাইন মেনে মিনহাজুল আবেদিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচকমÐলী প্রাথমিক দল গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনিÑ ‘নির্বাচকরা যে ৩০ জনকে দিয়েছে আমি সেটার অনুমোদন দিয়েছি। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে যারা ভালো খেলেছে, তাদেরকে রাখা হয়েছে প্রাথমিক দলে। কোচ এবং ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে দলটা নির্বাচন করে আমাকে দিয়েছে নির্বাচক কমিটি, আমি তাদের ওই দলটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন