স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাসমূহের অটোমেশন প্রক্রিয়ায়, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা বা ডিপিপি অনুসরণ না করায়, সরকারের ৩০০ কোটি টাকা অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অদৃশ্য কারণে ডিপিপি এর সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে তড়িঘড়ি করে দরপত্র আহŸান করে সরকারের বদলে বেসরকারি পর্যায়ে তথ্যভান্ডার সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ইউপিএইচডিপি প্রকল্পে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন সমূহের জন্য নির্মিত সরকারের স্বত্বাধীন সফটওয়্যার ব্যবহার না করে অফ-দি-সেল্ফ (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন) ৪টি নতুন সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য টেন্ডার আহŸান করা হয়েছে।
সরকারের ডিপিপি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভা সমূহের জন্য ইউনিফাইড (আইডেনটিক্যাল) অটোমেশন কার্যক্রম (আরএমএস এবং ডিইএএএস) চালু করা কোন অবস্থায়ই সম্ভব হবে না বিধায় সরকারের ৩০০ কোটি টাকা অপচয় হবে।
উলেখ্য যে, এই বিষয়ে প্রথম টেন্ডারটি ডিপিপি অনুযায়ী আইনানুগ ভাবেই করা হয়েছিল পরবর্তীতে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রথম টেন্ডার বিনা কারণে বাতিল করে দ্বিতীয়বার ৪ টি অফ-দি-সেল্ফ সফটওয়্যার ডেভেলপ করার জন্য টেন্ডার আহŸান করা হয়েছে। ৪টি সফটওয়ারের মালিকানা নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকায় পৌরসভার নাগরিকদের তথ্য ভান্ডার সুরক্ষিত থাকবে না এবং এতে জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল খালেক সাহেবের চাকুরী আগামী মার্চ মাসে শেষ হবার কারণে তড়িঘড়ি এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ডিপিপিতে ডাবল এন্ট্রি এ্যক্রুয়াল একাউন্টিং সিস্টেম (ডিইএএএস) আর্ন্তজাতিক সিসটেম বাস্তবায়নের বিষয় উল্লেখ থাকলেও প্রকাশিত টেন্ডারে তা বাদ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন