শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পঙ্গপালে ফসল সাবাড়

গুজরাট-রাজস্থানের পরে এবার পাঞ্জাব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারতের রাজস্থান থেকে পাঞ্জাবেও পৌঁছে গেছে ফসল ধ্বংসকারী পঙ্গপালের দল। এর আগে গুজরাটে চালিয়েছে ধ্বংসের কাজ। এখন পাঞ্জাবে ক্ষেতের পর ক্ষেত গম রীতিমতো সাবাড় হয়ে যাচ্ছে এই পোকার সংঘবদ্ধ আক্রমণে। আলু, গম, জিরা ও সরিষা ক্ষেতেও প্রভাব পড়ছে।
ওইসব রাজ্যের কৃষি দফতরের তথ্য বলছে, একদিনে ২৫টি উট যত খেতে পারে, পঙ্গপালের একদিনে তা সাবাড় করার ক্ষমতা রয়েছে। ফলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সহজেই অনুমেয়। ইতোমধ্যে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে পাঞ্জাবের চার জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান সীমানা সংলগ্ন মুক্তাসার, উরিদকোট, ফিরোজপুর এবং ফজিলকা জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

সেখানকার চাষিদের সতর্ক করা হচ্ছে এই পঙ্গপালের সঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে। সরকারি কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। পাঞ্জাবের কৃষি সচিব কাহান সিং পান্নু জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। ছড়ানো হচ্ছে কীটনাশক। সে সঙ্গে প্রয়োগ করা হচ্ছে নানা ওষুধ।
সপরিবাওে কৃষকরাও নিজেদের উদ্যোগে রাত-দিন জেগে ফসল পাহারা দিচ্ছেন। স্টিলের প্লেট পিটিয়েও পঙ্গপাল তাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছেন তারা। কারণ স্থানীয়দের বিশ্বাস, বিকট শব্দে এই উপদ্রব কমে যায়। রাজস্থানে এসবের পাশাপাশি বসানো হয়েছে এক ধরনের অত্যাধুনিক মেশিন। রাতের বেলায় পঙ্গপালের দলের ওপর ইে মেশিন বিশেষ কীটনাশক ছড়িয়ে দেয়। তারপর সকালে রোদ ওঠার পর উড়তে গেলেই কীটনাশকের প্রতিক্রিয়ায় পঙ্গপাল মরে যায়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এতদিন পর্যন্ত পঙ্গপালের হামলা নভেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যেত। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে শীত আসার পরও পঙ্গপালের হামলা থামছে না। আগে রাতের বেলায় কীটনাশক ছড়িয়ে রাখলে সকালে রোদ ওঠার পর পঙ্গপাল ওড়ার চেষ্টা করত এবং সঙ্গে সঙ্গে মারা যেত। শীতে তা হয় না। শীতে যে সময়টা বেছে নিতে হচ্ছে, সেটা ভোরবেলা।

পঙ্গপালের সঙ্গে যুদ্ধরত কর্মী-বাহিনী মেশিনের সাহায্যে একদম ভোরবেলায় কীটনাশক ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারপর সকালে পঙ্গপাল মরছে। পঙ্গপালের বিশেষত্ব হচ্ছে একবারে খতম না করা যায়, তাহলে এত দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে যে প্রতিরোধ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এমনিতেই রাজস্থান খরাপ্রবণ রাজ্য। কম বৃষ্টিপাতের কারণে জমি অত্যন্ত রুক্ষ, ফলে চাষবাস করাও কষ্টসাপেক্ষ। তার মধ্যে যদি এভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তবে তা কৃষকদের জন্য খুবই সমস্যার বিষয়। সূত্র : দ্য ওয়াল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
মোহাম্মদ কাজী নুর আলম ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
মানুসের কৃতকর্মের কারণে আজ সারা বিশ্বে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
Total Reply(1)
Md. Aman Ullah Talukder ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:২০ এএম says : 4
Absolutely right.
কে এম শাকীর ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
হে আল্লাহ তুমি েএই গজব থেকে রক্ষা করো। ফসল নষ্ট হয়ে গেলে ৃকৃষকদের ক্ষতি হয়ে যাবে।
Total Reply(1)
salman ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:০৬ এএম says : 4
Alhamdulillah, Ata Mushrik MUDI
তরুন সাকা চৌধুরী ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
গুজরাটের দাঙ্গাবাজ মোদিকে সাবধান হওয়া উচিত। নতুবা আরও বড় গজব নেমে আসবে।
Total Reply(0)
কৃষানীর স্বপ্ন ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৪ এএম says : 0
পঙ্গপাল বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হোউক।
Total Reply(0)
salman ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:০৪ এএম says : 0
ALLAH'R GOZOB, Alhamdulillah
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন