কক্সবাজারের টেকনাফে ছোট পঙ্গপালের মত পোকার আক্রমণে বসতভিটার গাছপালা ও বাগানের গাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলছে। শত শত পোকা দল বেধে গাছের পাতা ও শাখায় বসে একের পর এক গাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছেড়ে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ছবি তুলে কৃষি গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সরেজমিন এ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে - পান, লতা পাতা, আগাছা থেকে শুরু করে শুকনো পাতা, কাচাঁ পাতা ও গাছের শাখা প্রশাখায় সারি সারি পোকা । কোথাও গাছের শাখা আছে পাতা নেই। আবার কোথাও পাতা ঝলসে গেছে। কোথাও পাতায় পোকায় খাওয়ার মত ছিদ্রযুক্ত। একটি গাছের নিচে রয়েছে কিছু ছাই। যা কিনা আগুন জ্বালিয়ে পোকা দমনের চেষ্টা করেও সরে যায়নি।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী গ্রামের বাড়ির মালিক সোহেল সিকদার জানান- গত কয়েকদিন ধরে ভিটের আম গাছের অবস্থা দেখতে গিয়ে তিনি দেখতে পান শত শত পোকা। আম গাছ, তেরশলগাছসহ অন্যান্য বেশকটি গাছের পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও শাখা ছাড়া কোন পাতা নেই। আবার কোথাও কোথাও পাতা ঝলছে গেছে। তবে দিন দিন পোকার সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি পোকা গুলোর মধ্যে পাখাও দেখা যাচ্ছে। আমি একটা আম গাছের নিচে ঝোপঝাড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পোকার আক্রমন হতে রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। বরং দিন দিন পোকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরের দিন রবিবার সকাল বেলায় গিয়ে দেখা যায় ভিটের জমিতেও শত শত পোকা। এসব পোকা দেখতে পঙ্গপালের এর মতো। তিনি উপায় না দেখে পোকার ভিডিও সামাজির যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
টেকনাফ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এবিএম আবুল হোসেন রাজু বলেন- পঙ্গপালের মতো পোকা হলে অবশ্যাই সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবহিত করা উচিত এবং পঙ্গপাল হলে সরকারের দৃষ্টি দেয়া উচিত।
সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে টেকনাফ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: শফিউল আলম বলেন, পোকার ছবি কক্সবাজার জেলা অফিসে পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি দেখতে পঙ্গপাল মতো। পঙ্গপালের পাখা থাকে এবং সহজে উড়তে পারে। এটির তেমন পাখা দেখা যায়নি এবং এদিক ওদিক লাফাতে পাড়ে। তবে যেহেতু কাচাঁ পাতা খেয়ে ফেলছে তাই এটি ক্ষতিকর পোকা। এসব পোকা যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য কিটনাশক স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন