‘৯৯৯’ ডিজিটাল সেবা। পুলিশ বাহিনীর এই নতুন জরুরি সেবার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সারাদেশের মানুষের। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথুরিয়া সর্বত্রই এই সেবা পুলিশকে অসহায় মানুষের কাছে ‘জনবান্ধব’ করে তুলছে। ঘুষ-দুর্নীতি এবং উল্টো হয়রানীর কারণে মানুষ যখন পুলিশের সেবা নিতে ‘থানামুখী’ হওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন। ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক কাজে ‘অতি’ ব্যবহারের কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীটির প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়। তখন পুলিশ বাহিনীর ডিজিটাল বাংলাদেশে ‘৯৯৯’ সেবা কার্যক্রম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টা দেশের যে কোনো প্রান্তে বিপদগ্রস্থ মানুষ ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলেই ছুঁটে আসছেন পুলিশ সদস্যরা। সহায়তা পাচ্ছেন বিপন্ন মানুষ। সন্ত্রাস, দুর্ঘটনা, বাল্যবিবাহ ঠেকানো, ধর্ষণ, অগ্নিকান্ড যে কোনো বিপদের ভরসা হয়ে গেছে ‘৯৯৯’।
২৪ জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা। বন্ধু মামুনসহ কয়েকজন এক তরুনীকে রংপুরের পীরগাছার ঝিনিয়া গ্রামের একটি বিলের নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই তরুণী কৌশলে তাদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। দোকানি সাথে সাথে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পীরগাছা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর। ওই দিন সকালে ৭টা ৩৬ মিনিটের সময় চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসবের পর যাত্রীরা প্রসবিত এক প্রসূতি মহিলা ও নবজাতককে রেল স্টেশনে নামিয়ে দেয়। এর পর যাত্রীরা ওই মহিলাকে রেখে যার যার মত করে চলে যায়। কিন্তু প্রসূতির শারীরিক অবস্থা ছিল গুরুতর। এ সময় এক যাত্রী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোনে সহায়তা চান। ৯৯৯ থেকে বিষয়টি বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে জানানো হয়। এরপরই ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রেলস্টেশন থেকে প্রসূতি ও নবজাতককে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। মা ও নবজাতক এখন সুস্থ। তবে সময়মতো তাদের হাসপাতালে নিতে না পারলে অঘটন ঘটতে পারত।
প্রযুক্তির কল্যাণে এভাবে অবিশ্বাস্য সব গল্পের জন্ম দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। দেশের সরকারি ব্যবস্থার ওপর যখন অনেক ক্ষেত্রেই জনগণ আস্থা রাখতে পারছে না, তখন জাতীয় জরুরি সেবা হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ একের পর এক চমক দেখাচ্ছে। অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের কল পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই সেবায় বলার মতো অনেক গল্প তৈরি হয়েছে। এই সেবার প্রতি মানুষ আস্থাশীল হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনায় সহায়তা, বাল্যবিবাহ রোধ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, গৃহকর্মী নির্যাতন রোধ, পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ ইত্যাদিতে ৯৯৯ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। ৯৯৯-এ ফোন করে ঝামেলা এড়িয়ে সহজে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা পাচ্ছে মানুষ।
গতকাল জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কার্যালয়ে ইনকিলাবকে সেবায় নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তারাতারা জানান, এই সেবার ওপর সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখাকেই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছি। শুধুই প্রসূতি ওই মহিলাই নয়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি মানুষ এ সেবা গ্রহণ করেছেন।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, সাধারণ জনগণ সেবা পেতে গত ২ বছরে ‘৯৯৯’ নাম্বারে এ পর্যন্ত ২ কোটি অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অর্ধকোটি অভিযোগ সমাধান করতে পেরেছে। পুলিশ চায় মানুষকে সেবা দিতে, মানুষকে সাহায্য করতে। পুলিশকে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। সেই প্রচেষ্টাই অব্যাহত আছে। পুলিশকে জনবান্ধব করে তুলতে সকল পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-তে কর্মরত এএসপি ফারাহ সিদ্দিকী দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত রোগী ফেরি পারাপার, প্রাণনাশের আশঙ্কা, ধর্ষণ-সংক্রান্ত ঘটনা, গৃহকর্মী নির্যাতন, কাউকে আটকে রাখা, লিফটে আটকে পড়া, অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা, দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ডের ঘটনা, পারিবারিক সমস্যা, শব্দদূষণ, ছিনতাইসহ নানা বিপদ থেকে উদ্ধারে মানুষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। নাগরিকের জরুরি প্রয়োজনে কোনো একটি মুঠোফোন থেকে ৯৯৯-এ বিনা পয়সায় ফোন করতে পারেন। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এই সেবা। ৯৯৯ সার্ভিসের প্রশিক্ষিত কর্মীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কেউ ফোন করলে সমস্যার ধরন, নাম-পরিচয় ও ঠিকানা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হয়। যেমন কেউ পুলিশের সেবার জন্য ফোন করলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সঙ্গে ফোনে ওই ব্যক্তিকে কথা বলিয়ে (টেলি কনফারেন্স) সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ওই তরুণী সাভারের হেমায়েতপুরে কাজ করত। সে শুধু প্রেমিকের নাম মামুন বলতে পেরেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ১৫ অক্টোবর, দুপুর ১২টা ৮ মিনিট। জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেন সোনিয়া। ঢাকার কেরানীগঞ্জে থাকেন তিনি। সোনিয়া জানান, তার স্বামীকে মুন্সিগঞ্জ জেলগেট থেকে একদল লোক অপহরণ করে মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় একটি বাড়িতে আটকে রেখেছে। তারা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে অপারেটর তাৎক্ষণিক সোনিয়াকে মুন্সিগঞ্জ থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িটি চিহ্নিত করে এবং অভিযান চালায়। সেখান থেকে সোনিয়ার স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে শিপলু নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
সোনিয়া সাংবাদিকদের জানান, পুলিশকে সরাসরি ফোন করলে হয়তো এত দ্রুত সহায়তা পেতেন না। কিন্তু ৯৯৯-এ ফোন করার ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পুলিশ না গেলে হয়তো স্বামীকে ফিরেই পেতেন না। এই ফোন করতে তার কোনো খরচ হয়নি। উল্টো অপারেটর ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন, তিনি সেবা পেয়েছেন কি না।
গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ৬ মিনিটের সময় রাজধানীর মালিবাগ থেকে ৯৯৯ এ ফোন করেন ছিনতাইয়ের শিকার এক ব্যক্তি। এ সময় তিনি জানান, ঝিনাইদহ-ট ১১-১৫০১ নম্বরে একটি ট্রাককে মালিবাগ এলাকায় প্রাইভেট কারকে ব্যারিকেড দিয়ে থামায়। তারপর জোরপূবর্ক ট্রাকের চালক ও হেল্পারকে নামিয়ে একজন ছিনতাইকারী ট্রাকটি নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাকটিতে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো আছে এবং ট্রাকটি মুগদা বিশ্বরোডের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন খবর পাওয়ার পর বিষয়টি সুবাজবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপর সবুজবাগ থানা পুলিশের একটি টিম ওই ট্রাকটির পিছু ধরে। এক পর্যায়ে ট্রাকটিকে থামানো হয় এবং রাজু আহমেদ সোহাগ নামের একজন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়।
সরেজমিন ৯৯৯
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রম পরিচালিত হয় রাজধানীর আবদুল গণি রোডের পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে। গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চারদিকে শুধু ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দ। কেমন চলছে এ সেবা, জানতে জরুরি সেবার কল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দুটি তলায় শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। যারা কল রিসিভ করেন, তাদের বলা হয় কলটেকার। কলটেকারদের তত্ত্বাবধান করার জন্য আছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এখানে চার পালায় কাজ করেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য রয়েছে আলাদা ডেস্ক।
৩৭১ জন জনবল চালান এ কার্যক্রম:
৩৭১ জন জনবল দিয়েই চলছে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কার্যক্রম। এর মধ্যে টি অ্যান্ড আইএম থেকে কর্মরত রয়েছেন ২৩২ জন। আর প্রেষণে কর্মরত আছেন মোট ১৩৯ জন। টি অ্যান্ড আইএম কর্মরত ২৩২ জনের মধ্যে একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, এএসপি ৪ জন, ইন্সপেক্টর ৬ জন, সাব ইন্সপেক্টর ২ জন, এএসআই ৯ জন, তার মধ্যে নারী এএসআই ১ জন রয়েছেন। বেতার কনস্টেবল ২১০ জন। তার মধ্যে নারী বেতার কনস্টেবল ৮৫ জন রয়েছেন।
অপরদিকে প্রেষণে কর্মরত ১৩৯ জনের মধ্যে ইন্সপেক্টর ১৯ জন, সাব ইন্সপেক্টর ১৭ জন রয়েছেন। তার মধ্যে ১ জন নারী সাব ইন্সপেক্টর রয়েছেন। মোট এএসআই রয়েছেন ২১ জন। তার মধ্যে নারী এএসআই রয়েছেন ২ জন। মোট কনেস্টবল রয়েছেন ৮২ জন। তার মধ্যে ২০ জন নারী কনেস্টবল রয়েছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম জনবল রয়েছে। জনবল বাড়ালে সেবার মান আরো বৃদ্ধিপাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, দুই বছর আগে মাত্র ৩০ সিট ও ১০০ জন জনবল নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ৩৭১ জন জনবল দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে এ কার্যক্রম গতিশীল করে তুলেছেন।
যেভাবে সহযোগিতা করা হয়:
বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ঢাকায় প্রশিক্ষিত এজেন্টরা রিসিভ করেন। পরে কলারের সমস্যা জানার পর দ্রুত ওই এলাকাস্থ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা অন্যান্য সেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করে দেন। তবে ৯৯৯ অফিসে যারা কল রিসিভ করেন, তাদের বলা হয় কলটেকার। আর তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। ২৪ ঘন্টায় রয়েছে চারটি শিফট। আর একজন কর্মী তার শিফটে কখনো ৩০০ থেকে ৪০০টি কল রিসিভ করেন।
কলটেকাররা জানান, দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে কল আসার পর তারা লোকেশন সার্চ করেন। তারপর সবচেয়ে কাছে যে থানা সেখানে যোগাযোগ করেন। আবার অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রেও নিকটস্থ সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্টারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা সমাধান করেন।
কার্যকম শুরু হয় যেভাবে:
সেবাটি প্রথমদিকে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচি ছিল। ওই সময় পরীক্ষামূলক কাঠামোর অধীনের নাগরিককের জরুরি প্রয়োজনে সম্পূর্ণ টোলফ্রি পুলিশ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হতো। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্লাস ওয়ানের সেবার সমন্বয়ে ও অশীদারত্বের ভিত্তিতে এ সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাংলাদেশ পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ও কারিগরি সরঞ্জাম সংযোজন করে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিএমপি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের ৫ম এবং ৬ষ্ঠতলায় জাতীয় জরুরী সেবা সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জরুরি এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সাফল্যের হার:
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬টি কল রিসিভ করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য বা জরুরি সেবা পেয়েছেন এসব কলের ২১ শতাংশ মানুষ।
যে ধরনের সেবা দেওয়া হয়েছে:
সেবা দেওয়ার ২১ শতাংশ কলের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৮৯টি। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সেবা দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৭টি। যা জরুরি প্রয়োজনের কলের ৭২ শতাংশ। ফায়ার সার্ভিসের সেবা দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ৮২৭টি। যা জরুরি প্রয়োজনের কলের ১৬ শতাংশ। অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার ৩২৫টি। যা জরুরি প্রয়োজনের কলের ১২ শতাংশ। নারীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে ১ লাখ ৯৫৩টি কলের বিপরীতে।
বেশি কল ঢাকা থেকে:
গত দুই বছরে জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ঢাকা থেকে সবচেয়ে বেশি কল এসেছে। যা মোট কলের ৬৮ শতাংশ। তার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ১০ শতাংশ, খুলনা থেকে ৫ শতাংশ, রাজশাহী থেকে ৪ শতাংশ, রংপুর থেকে ৪ শতাংশ, বরিশাল ও সিলেট থেকে ২ শতাংশ করে কল করা হয়েছে। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন