ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও তার চাচাতো ভাই সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তদন্তে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি গত ২৩ জানুয়ারী স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে। এর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের নির্দেশে জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের তদন্ত করে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের গৃহীত মির্জাপুর-হরষপুর রাস্তায় বৃক্ষরোপন প্রকল্পে অনিয়ম রয়েছে। ইছাপুরা ইউনিয়নে আরসিসি পাইপ সরবরাহের একটি প্রকল্প একই অর্থবছরে দুটি খাত অর্থাৎ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী এবং এলজিএসপি থেকে গৃহিত হয়েছে বলে দেখানো হয়। ইছাপুর ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মোঃ আহার মিয়া গত বছরের ১৯ মে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। তার অভিযোগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাতগাঁওয়ের ধীতপুর রাস্তা থেকে বড়বাড়ির সাকুলের বাড়ি পর্যন্ত এডিবি’র প্রকল্পের মাধ্যমে সিসিকরন কাজের নামে ২ লাখ টাকা, খাদুরাইল সাকুলের বাড়ি থেকে পূর্বদিকের রাস্তা পর্যন্ত ড্রেন নির্মান কাজের নামে ১লাখ টাকা আত্বসাতের কথা বলা হয়। এছাড়া মির্জাপুর-হরষপুর রাস্তায় বৃক্ষরোপনের নামে ২ লাখ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে এক পার্সেন্টের টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দরজা-জানালা মেরামতসহ আড়াইলাখ টাকায় নানা কাজ দেখিয়ে আত্বসাত, ধীতপুর রাস্তার আইনুদ্দিনের বাড়ি থেকে ডালপা ফজলের বাড়ি পর্যন্ত ৪ লাখ টাকায় রাস্তায় পুনঃনির্মান, এডিপি ও এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ইছাপুরা ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে আরসিসি পাইপ সরবরাহের নামে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩৭ টাকা এবং ১লাখ ৩০ হাজার ৪৯৯ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ করা হয়। এছাড়া কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, উন্নয়ন কর, এডিপি’র ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ করা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে বলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন