টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। তিন ফরম্যাটেই ভারত এখন দুর্দান্ত এক দল। একটা বড় কারণ দলটার ফাস্ট বোলিং বিভাগ। এর মধ্যে মোহাম্মদ শামিকে এ মুহ‚র্তে বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার মনে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের। ভারতীয় কোনো ফাস্ট বোলারকে কেউ বিশ্বের সেরা বলছেন বছর দু-তিন ধরে সেটি আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন কোনো প্রশংসা যখন শোয়েব আখতারের কাছ থেকে আসে, সেটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বটে!
সেটি শোয়েব পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার বলেই নন। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন শোয়েব, সেটি এখনো সবচেয়ে দ্রæতগতির বলের রেকর্ড। ফাস্ট বোলিংয়ের ব্যাপারে তাই শোয়েবের জানাশোনা কিছু আছে, এমনটা তো ধারণা করাই যায়! সেই শোয়েবের চোখেই ভারতীয় এক ফাস্ট বোলারই এই মুহ‚র্তে বিশ্বের সেরা। তবে অন্য অনেকের ধারণার সঙ্গে তাল রেখে নামটা যশপ্রীত বুমরা নয়, শোয়েবের চোখে সেরা মোহাম্মদ শামি।
শোয়েব শামিকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার ওভার নাটক দেখা টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জয়ের পর। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষ ওভারটিতে কী অসাধারণ বোলিংই না করেছেন শামি! ক্রিজে তখন নিউজিল্যান্ডের দুই সেট ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। জিততে কিউইদের দরকার ৯ রান।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেটি নিয়েই শোয়েব বললেন, ‘প্রথম বলে টেলর যখন শামিকে ছক্কা মারল, আমি ভেবেছিলাম ম্যাচ শেষ। কিন্তু সেখান থেকেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফিরে এল শামি। ও বুঝেছে, পিচে কিছুটা আর্দ্রতা আছে, যেটা বলকে স্কিড করতে সাহায্য করবে। শুধু ঠিক লেংথে ফেলতে পারলেই হলো।’
উইলিয়ামসনকে ফেরানো বলটা শামি করেছেন উইকেটের বাইরে খাটো লেংথে। এরপর ক্রিজে নতুন আসা টিম সেইফার্টকে করা পরের দুটি বলও একই রকম। শেষ বলে টেলর হয়ে গেলেন প্লেড-অন। ‘আমার শেষ ম্যাচে টেলর আমার বলে অনেকবার মিড-উইকেটের দিকে মেরেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে (শামির বলে) ওর ব্যাটে লেগে বলটা স্টাম্পের দিকেই চলে এল। কিন্তু কৃতিত্বটা শামির প্রাপ্য।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন