ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছরে অনেক সরকার পরিবর্তন হয়েছে, অনেক দফার আবির্ভাব ঘটেছে, নেতা-নেত্রীর পরিবর্তনও হয়েছে বহুবার, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি, দেশ স্বাধীনের উদ্দেশ্য আজও সফল হয়নি। স্বাধীন দেশের মানুষ আজও অবহেলিত, নিষ্পেষিত, নির্যাতিত। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই, ন্যায়বিচার থেকে আজ মানুষ বঞ্চিত, জানমালের নিরাপত্তা নেই, এমনকি মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে হরণ করা হয়েছে। স্বাধীন দেশের মানুষগুলো সবাই যেন পরাধীন জীবনযাপন করছে। এ অবস্থা থেকে জনগণকে মুক্তি দেয়ার দায়িত্ব যাদের কাঁধে সেই শাসকগোষ্ঠী নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে মানুষকে শুধু শোষণ করেছে। ফলে আজও এদেশ বিশ্ব দরবারে একটি দারিদ্রপীড়িত, দুর্নীতিগ্রস্ত ও পশ্চাৎপদ দেশ হিসেবে পরিচিত। আমরা দেশপ্রেমিক মুসলমানরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এদেশকে আর পিছনের দিকে যেতে দিতে পারি না। আমরা চাই সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কায়েমী স্বার্থবাদীদের মুলোৎপাটন করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃৃদ্ধশালী ভুখ-ে পরিণত করতে। আর এজন্য কোন দফা বা ফর্মুলায় কাজ হবে না, ইসলামী শাসনব্যবস্থাই পারে জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে প্রকৃত স্বাধীনতা উপহার দিতে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর ও আস্থা তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করেছে। অপরদিকে বিএনপি নেতা তারেক রহমান ইসলামী রাজনীতিকে স্বীকার করে না। তাহলে উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। জোট-মহাজোটে যেসকল ইসলামী সংগঠন আছে তাদের উচিত হবে তাদের ত্যাগ করে ইসলামে ফিরে আসা। কেননা ইসলামই একমাত্র মানবতার মুক্তির ঠিকানা।
জামিয়া ইসলামিয়া আজিজিয়া
ফাতেমাতুজ জাহরা (রাহ.)
ফটিকছড়ি পূর্ব মাইজভা-ার আমতলী জামিয়া ইসলামিয়া আজিজিয়া ফাতেমাতুজ জাহরা (রাহ.)-এর আগামী ১০ ও ১১ মার্চ’ ১৬ (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) বার্ষিক ইসলামী সম্মেলন সফলের লক্ষে এক প্রস্তুতি সভা গত ৫ জানুয়ারি নগরীর মেহেদীবাগস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকেল ৩ টায় জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব আল্লামা আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়, এ সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা এস এম সামশুল আলম চৌধুরী, মুফতি মোহাম্মদ খালেদ, ক্বারী মঈনউদ্দিন, মাওলানা বেলায়েত হোসেন ফিরোজী, হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।
প্রস্তুতি সভায় আগামী বার্ষিক ইসলামী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বলা হয় সম্মেলনে সারাদেশের বিভিন্ন পীর-মাশায়েখ, মুফতি ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ গুরুত্বপূর্ণ তাকরির পেশ করবেন। সম্মেলনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ হতে অনুরোধ জানানো হয়।
খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে ওলামায়ে কেরামদের সাথে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ছাত্র ও মাদ্রাসার উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং নিহত ও আহতদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ সকল প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় আবারো ধর্মপ্রাণ মানুষ গর্জে উঠবে এবং ২০০১ সালের মতো সরকার পতন তরান্বিত হবে। তিনি বলেন, আবারো প্রমাণ হয়েছে, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কিছু তাপস কুমার ও আকুল চন্দ্র মার্কা ইসলামী ও মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলীয় লোকজন আছে। তারাই দেশের সর্বনাশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। এই সকল বামপন্থী, রামপন্থী, খোদাদ্রোহী নাস্তিকদের দমনে ব্যর্থ হলে অতীতের মতো বর্তমান সরকারও ডুববে।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, কোনো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় শ্লোগান দিয়ে হামলা হতে পারে না। এটা দুশমনদের সুপরিকল্পিত হামলা। মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন