(১) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য নেতাকর্মীদের যোগ্য, দক্ষ ও নির্লোভ হতে হবে। লোভ-লালসা পরিহার করে শুধুমাত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতকরণ ছাড়া ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয় করা যাবে না। তিনি বলেন, যতদিন মুসলমানেরা রাসূল সা.-এর আদর্শের ওপর অটল ছিল, যতদিন ইসলামের ওপর মজবুত ছিল ততক্ষণ মুসলমানরা ছিল বাদশাহর জাতি। তখন তারা বিশ্ব নেতৃত্ব দিয়েছিল। আর যখন মুসলামনরা রাসূলের সা. আদর্শ থেকে দূরে সরে লেলিন, কালমার্কস, মাওসেতুংয়ের আদর্শ গ্রহণ করেছে তখনই মুসলমানের ওপর তাগুতি ও খোদাদ্রোহী শক্তি জেঁকে বসেছে। বিশ্বব্যাপী অশান্তির মূল কারণ একমাত্র এটাই। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, অরাজকতা ও সংঘাত থেকে মুক্তি পেতে হলে রাসূলের আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে। রাসূলের সা. আদর্শই একমাত্র মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি।
সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর ও থানা শাখার যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন ও মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মু. মোশাররফ হোসেন, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, আলহাজ হারুন অর রশিদ, আলহাজ ঈসমাইল হোসেন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, হাজী আনোয়ার হোসেন, হাজী হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
(২) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মানুষের মনগড়া মতবাদ দ্বারা দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার কাক্সিক্ষত মুক্তি সম্ভব নয়। মানুষের জ্ঞানে রচিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ দ্বারা মানুষের শান্তি আসতে পারে না। শান্তির জন্য প্রয়োজন ইসলামী শাসনের। কারণ ইসলাম যারা মেনেছেন তারা কখনো অন্যায় ও মিথ্যার আশ্রয় নেয় না। তাদের দ্বারা দেশের সম্পদও কুক্ষিগত হয় না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ ডা. মোখতার হোসাইন, মাওলানা আবু জাফর আহমদ উল্লাহ, আলহাজ রফিক উদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও আলহাজ মোহা. আমিনুল ইসলাম, অ্যাড. হুমায়ুন কবির, অ্যাড. আব্দুল মতিন, অ্যাড. মুহিব্বুল্লাহ, অ্যাড. সর্দার মোহা. মানিক মিয়া, অ্যাড. আলমগীর হোসেন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার মসজিদে জুমআর খুৎবাহ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিলে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট উত্তেজিত করে তুলবে। কাজেই এধরনের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাই।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আত্মশুদ্ধি অর্জন করা ছাড়া নাজাত পাওয়া যাবে না। প্রত্যেক মুসলমানকে আল্লাহর রঙ্গে রঙ্গীন হতে হবে। আল্লাহর কাছে যার বেশি আত্মশুদ্ধি তার মূল্য তত বেশি। আল্লাহ বলেন, “যারা আত্মশুদ্ধি অর্জন করেছে তারাই সফলকাম, আর যারা আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারেনি তারা সফলকাম নয়।” কাজেই আমলের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রকৃত আল্লাহর বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সাথে সাথে অন্যায়-অসত্য ও আল্লাহদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে। সম্প্রতি কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বদরপুর ইসলামিয়া মাদরাসা ময়দানে বিশাল আত্মশুদ্ধিমূলক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন