ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, বর্তমান সময়ে ইসলামের চরম দুর্দিন চলছে। তাবৎ ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো ইসলাম ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। এই মুহূর্তে মুসলমানদেরকে রাসূল (সা.)-এর আদর্শ আঁকড়ে ধরে ময়দানে নেমে আসতে হবে। রাসূল (সা.)-এর আদর্শ ছাড়া মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়। একটি মহল ইসলামকে জঙ্গিবাদের সাথে তালগোল পাকিয়ে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে। ড. আবুল বারাকাত কর্তৃক ঢালাওভাবে ইসলামপন্থিদের জঙ্গিবাদের সাথে তুলনা করা এবং কওমী মাদরাসাগুলোকে টার্গেট করে লেখালেখি করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। ড. আবুল বারাকাতদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হতে পারে।
সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরের দিলালপুর তমিজ উদ্দিন মাদরাসার উদ্যোগে মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জনবাব মুস্তাফিজুর রহমান মুন্সির সভাপতিত্বে এবং মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা উবায়দুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আশরাফুল উলুম মাদরাসা বি-বাড়ীয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মেরাজুল হক আযহারী, মুফতী মাহমুদুল্লাহ, দৃষ্টিশক্তি রোহিত কণ্ঠশিল্পী ও বক্তা হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম। সম্মেলনে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন দেশ-বিদেশ আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী শায়খ আহমদ বিন ইউসুফ আল আযহারী। ক্বারী আহমদ বিন ইউসুফের তেলাওয়াতে উপস্থিত মুসল্লিদের বিমোহিত করে তুলে। এছাড়াও স্থানীয় উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের ২য় দিনে দাবানল, কলরবসহ অন্যান্য শিল্পী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে ইসলামী সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
পীর সাহেব চরমোনাই
দেশে ভয়াবহ গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়ায় জনগণের দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, গ্যাসের তীব্র সঙ্কটের ফলে জনগণের জীবন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সঙ্কট নিরসন করে জনগণের কষ্ট লাঘব করা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
সম্প্রতি পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, নগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আবদুল কাদের, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, আলহাজ হারুন অর রশিদ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, অ্যাড. শেখ লুৎফুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম, আলহাজ আবদুর রহমান, বরকতউল্লাহ লতিফ, ক্ষীল মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ, সৈয়দ আলী মোস্তফা, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম, অ্যাড. একেএম এরফান খান, কেজি মাওলানা প্রমুখ।
মজলিসে আমেলার সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নাগরিক জীবনে চরম নিরাপত্তাহীনতা প্রকাশ পাচ্ছে। ফলে দেশে খুন-খারাবী অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। এখন নুনের চেয়ে খুন সস্তা। এমতাবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। তিনি বলেন, ধর্মদ্রোহীদের শাস্তির আইন না থাকায় ইসলাম নিয়ে কটূক্তি অব্যাহতভাবে চলছে। এখন পবিত্র আজান, ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল ও তাবলীগের কারণে শব্দ দূষণ হয়, এগুলোর অনুমতি বাতিল করতে হবে এধরনের কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন