চীন থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে মেডিকেল হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে। কুমিল্লা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে অস্থায়ীভাবে এই হেল্প ডেস্ক খোলা হয়।
আন্তর্জাতিক এই পথে যাতায়াতকারী ভারতসহ বিদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে মেডিকেল ডেস্কের চিকিৎসকগণ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এই কাজে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ তিন জন নিয়োজিত রয়েছেন।
ডেস্কে দায়িত্ব পালনকারী স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেন। তারা ভারত থেকে আসা যাত্রীদের চীনে গিয়েছিলেন কিনা, কিংবা জ্বর, সর্দি-কাশি আছে কিনা, তা প্রাথমিকভাবে জানতে চাইছেন। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে করোনাভাইরাসের লক্ষণ বুঝতে পারলে তাদেরকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৪দিন পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। প্রয়োজনে ঢাকার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সহায়তা নেয়া হবে।
এই স্থলবন্দরের হেল্প ডেস্কের চিকিৎসক ডা. তানজিনা আক্তার বলেন, এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রাথমিকভাবে সনাক্ত হওয়া কোন যাত্রী পাওয়া যায়নি, যার জ্বর ও সর্দি-কাশি আছে। চীন থেকে আসা কোন যাত্রীও পাওয়া যায়নি।
বিবিরবাজার স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মাসুদ মাহাম্মুদ বলেন, এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ সর্তক রয়েছে। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ মতো বিবির বাজার স্থলবন্দরে করোনাভাইরাসের অস্থায়ী ডেস্ক স্থাপন করেছি। ডেস্কে নিয়োজিত চিকিৎসকরা এ বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। প্রাথমিকভাবে সনাক্ত হওয়া কাউকে পাওয়া গেলে তাদের জন্য সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫টি বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হবে। রোগ চিহ্নিত হলে ঢাকার রোগতত্ত্ব বিভাগের সহায়তা নেয়া হবে। তবে এ পর্যন্ত সন্দেহজনক কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন