বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ সিলেটের ওসমানীনগরের অংশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ফের অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন ভাসমান ফল ব্যবসায়ীরা। উচ্ছেদের পর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের দখল করার অভিযোগ উঠেছে ফল ব্যবসায়ীদের উপর।
গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিনটি দোকানে জরিমানা ও ফল ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেন। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, পরদিন আবারও মহাসড়ক দখল করে নিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ রয়েছে, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে দৈনিক হারে চাঁদা নিয়ে ভাসমান ব্যবসায়ীদের মহাসড়কে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিচ্ছেন।
জানা যায়, ফলের মৌসুম আসার সাথে সাথে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানজুড়ে ব্যবসা শুরু করেন ফল ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরের ন্যায় মহাসড়কের অধিকাংশ স্থান তারা দখল করে নিয়ে যায়। ফলের পসরা সাজিয়ে মহাসড়ক দখল করেন তারা।
কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় ক্রমেই দখল প্রবণতা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারগুলো, ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশের গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর, বাজারসহ বিভিন্ন জনকোলাহলপূর্ণ এলাকার নানা জায়গায় সড়ক ও জনপথের স্থান ফুটপাতসহ মহাসড়ক দখল করে নিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
এসব জায়গায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে যানবাহন, পথচারী ও বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। উপজেলা বিভিন্নœ হাট-বাজারে ফুটপাতসহ মহাসড়কের ওপর রাখা হয়েছে বিভিন্ন ফলের ভাসমান দোকান। মহাসড়কের উভয় পাশে এলোমেলো রাখা হয়েছে আনারস, কাঁঠালসহ নানা ধরনের ফল। তাছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে যানবাহনে করে আসা মালামাল নামাতে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সৃষ্টি হয় যানজট। ফুটপাতে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালপত্রের কারণে মহাসড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নয়তো সম্প্রতি উচ্ছেদ করার পর আজ আবার দখলের সাহস তারা পায় কোথায়?
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শওকত আলীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, যদি আবার দখল হয়ে থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উচ্ছেদ অভিযান আবার হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন