আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজে একযোগে আনন্দ র্যালি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বার্ষিক বিশেষ সিনেট অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
সিনেট অধিবেশনের শুরুতেই গত একবছরে দেশে ও দেশের বাইরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করেন তাদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। এরপর ভিসি তার অভিভাষণে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ১৭ মার্চ সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজে একযোগে আনন্দ র্যালি, আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ২টি গ্রন্থ প্রকাশনা ও বিশেষ সেমিনার আয়োজনসহ আরও নানা কর্মসূচি।
এছাড়াও ভিসি তার অভিভাষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি, শিক্ষার মানোন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপ, কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে গৃহীত সিইডিপি প্রকল্পের অগ্রগতি, আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি, ২০২০ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখসহ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া সিনেট অধিবেশনে চাকরি সংবিধিতে সংশোধন এনে তা পাস করা হয়।
সিনেট অধিবেশনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান এমপি, অ্যারোমা দত্ত এমপি, পিএসসির সাবেক সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুপারিশ আকারে বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন