ক্যারিয়ারে ১০০টির বেশি টেস্ট খেলেছেন, এমন ক্রিকেটার পাওয়া যাবে ৬৭ জন। ১০০টির বেশি ওয়ানডে খেলেছেন, এমন ক্রিকেটার ২৬৩ জন। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক মঞ্চে এসেছেই মাত্র বছর পনের হলো, তাই ১০০টির বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার কমই হওয়ার কথা। তা-ই হয়েছে, এমন ক্রিকেটার আছেন মাত্র তিনজন। কিন্তু সব সংস্করণে ১০০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, এমন ক্রিকেটার? এই তালিকায় এতদিন কারও নাম ছিল না। কিন্তু ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে গতকাল ভারত-নিউজিল্যান্ডের টেস্ট শুরু হতেই সে তালিকাও আর খালি থাকল না। ছেলেদের ক্রিকেট তো বটেই, নারী-পুরুষ সব ক্রিকেট মিলেই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণে ১০০-র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা প্রথম ক্রিকেটার হয়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর।
অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের বিরল রেকর্ডের দিনে ওয়েলিংটনে পেস ঝড় তুলেছে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। তাদের দাপুটে বোলিংয়ে বৃষ্টি বিঘিœত প্রথম দিন রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। অনন্য ছিলেন অভিষিক্ত পেসার কাইল জেমিসন। তার আগুনে বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১২২ রানের সংগ্রহ গড়তেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা।
সবুজ উইকেটের ফায়দা লুটে গতকাল বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করার আগে টস ভাগ্যও ছিল নিউজিল্যান্ডের পক্ষে। আক্রমণের ছন্দ ধরে রেখে ভারতীয়দের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে বৃষ্টিস্নাত দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। দিনটি বোধ হয় মোটেই পয়া ছিল না ভারতের জন্য। নইলে কি আর ৮৮ রানেই কোহলির দল হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট! দলীয় ও ব্যক্তিগত ১৬ রানে ওপেনার পৃথ্বী শ সাজঘরে ফিরতেই শুরু হয়ে যায় অতিথি ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার পালা। একে একে পৃথ্বীর পথ ধরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৩৪), চেতেশ্বর প‚জারা (১১), বিরাট কোহলি (২) ও হনুমা বিহারী (৭)।
বিস্ফোরক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাহীন ভারতকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়ে এখন উইকেটে টিকে আছেন আজিঙ্কা রাহানে। মিডল অর্ডারে নামা এ তারকা ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ অপরাজিত ৩৮। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন রিশব পান্থ (১০)। এদিকে অভিষেক টেস্টেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন কাইল জেমিসন। ৩৮ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তার সঙ্গে একটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
কিউইদের দুরন্ত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়তে না পারলেও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতি। ৫৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে ভারত চা বিরতিতে গেলে বৃষ্টি এসে বাগড়া দিয়ে বসে। ফলে কিউইরা প্রতিপক্ষের আর কোনো উইকেট নেওয়ার সুযোগ পায়নি।
কারণ ৫৫ ওভারের পর আর একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ভেজা মাঠ খেলার অনুপযুক্ত থাকায় প্রথম দিনের খেলা এখানেই শেষ হয়ে যায়। সন্দেহ নেই বৃষ্টির হানায় স্বস্তি পেয়েছে ভারত। কেননা যেভাবে কিউই পেসাররা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আরো কয়েকটি উইকেট অনায়াসেই ফেলে দিতে পারতেন তারা। বেসিন রিজার্ভে ভারতকে শুরুর দিন অলআউট করার সুযোগও ছিল স্বাগতিকদের হাতে। এজন্য প্রয়োজন ছিল কেবল আক্রমণের লয়টা ধরে রাখা। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় বেরসিক বৃষ্টি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন