শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আকমলের সেঞ্চুরিতে পেশোয়ারের জয়

পাকিস্তান সুপার লিগ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:৩২ পিএম | আপডেট : ৬:৫৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে করাচি কিংসের বিপক্ষে জয়ের কাছে গিয়েও পারেনি পেশোয়ার জালমি। কিন্তু লিগে নিজেদের পরের ম্যাচিই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ড্যারেন স্যামির দল। কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ১৪৮ রানে বেঁধে রেখে কামরান আকমলের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের বড় জয় পায় তারা। ৯ বল হাতে রেখেই আসরে নিজেদের প্রথম জয় পায় স্যামির দল।

পিএসএলের পঞ্চম আসরে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া এখন অবধি পাকিস্তানের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে মোট শতকের সংখ্যা ছয়টি। তারমধ্যে কামরান আকমলই তিন অংকের দেখা পেয়েছেন তিনবার। ২০১৭ সালে করাচির বিপক্ষে খেলেছিলেন  ১০৪ রানের ইনিংস। এরপর লাহোরের বিপক্ষে ২০১৮ মৌসুমে খেলেন অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস। তিনি ছাড়াও শারজিল খান, কলিন ইনগ্রাম ও ক্যামেরুন ডেলপোর্ত দেখা পেয়েছেন পিএসএল সেঞ্চুরির।

১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার কামরান আকমল ঝড় তোলেন। প্রথম ওভারেই আসে ২১ রান। অপরপ্রান্তে টম ব্যান্টন সঙ্গ দিতে গিয়ে পারলেন না। মাত্র ৩ রানে টাইমাল মিলসের বলে ক্যাচ আউটে তিনি ফিরে যান। কিন্তু আকমল খেলছিলেন নিজের মতো করেই। মাত্র ২০ বলে ৩ ছয় ও ৮ চারে পূর্ণ করে ব্যক্তিগত অর্ধশত রান। তার সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যান হায়দার আলি ব্যক্তিগত ২৫ রানে সোহেল খানের প্রথম শিকারে পরিণত হন। ক্রিজে আসেন শোয়েব মালিক।

মালিকও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ব্যক্তিগত ৭ রানে ফওয়াদের বলে ফেরেন তিনি। তার দুই বল পরে ফওয়াদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আকমল। তবে ফেরারর আগে কাজের কাজটা ঠিকই করেছেন এই ডানহাতি। ৫৪ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। অবশ্য জয় থেকে দল তখন ছিল মাত্র ৯ রান দূরে। ডাউসন ও লিভিংস্টোন জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ফওয়াদ সর্বোচ্চ ২টি উিইকেট পান। এছাড়া সোহেল ও মিলস পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

এরআগে করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ (শনিবার) টস জিতে পেশোয়ারের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি কোয়েটাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। উদ্বোধনী জুটিতে জেসন রয় ও শেন ওয়াটসন খেলছিলেন দুর্দান্ত। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে মারতে গিয়ে হাসান আলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওয়াটসন (৮)। ভেঙে যায় ৩৩ রানের জুটি। এরপর রয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আহমেদ শেহজাদ। তিনি শুরু থেকেই ছিলেন অস্বস্তিতে। ১২ বলে ১২ রান করে মোহাম্মদ আমির খানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান এই ডানহাতি। স্কোর তখন ২ উইকেটে ৫০।

পুরো দলের দায়িত্ব পরে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের কাঁধে। ওপেনার রয়কে নিয়ে সাবলীলভাবে এগিয়ে যান কোয়েটা দলপতি। ৫ চার ও এক ছয়ে ২৪ বলে ৪১ রান তোলেন তিনি। ঠিক সে সময়ই স্যামির বলে ক্যাচ আউটে ফেরেন তিনি। অবশ্য বড় রানের ভীত ঠিকই তৈরি করে দিয়েছেন। কিন্তু দলপতির বিদায়ের পর আজম খান (৫), মোহাম্মদ নওয়াজ (২) রানেই ফিরে যান। জেসন রয়ও ঠিক সরূপে থাকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অপরাজিত থাকলেও দলীয় সংগ্রহ দেড়শ পেরোয়নি পেশোয়ারের বোলারদের দৃঢ়তায়। ওয়াহাব সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট নেন। এছাড়া রাহাত, আমির ও স্যামি নেন একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স : ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (রয় ৭৩*, ওয়াটসন ৮, শেহজাদ ১২, সরফরাজ ৪১, আজম ৫, নওয়াজ ২, সোহেল ২*; হাসান ০/২২, রাহাত ১/৩৮, আমির খান ১/২৪, ওয়াহাব ২/২১, ডাউসন ০/৩১, স্যামি ১/৯)।

পেশোয়ার জালমি : ১৮.৩ ওভারে ১৫৩/৩ (ব্যান্টন ৩, আকমল ১০১, হায়দার ২৫, মালিক ৭, লিভিংস্টোন ০*, ডাউসন ২*; নওয়াজ ০/৩৩, সোহেল ১/২৭, হাসনাইন ০/২৮, মিলস ১/২৫, ফওয়াদ ২/৪০)।

ফল : পেশোয়ার ৬ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : কামরান আকমল (পেশোয়ার জালমি)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন