সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুর্কি সেনাদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সাথে বৈঠকে বসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। আগামী ৫ মার্চ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেই বিবৃতির মাধ্যমে এই বৈঠকের কথা ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইদলিব পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক তুর্কি সেনা নিহত হয়েছেন। নিজেদের ট্যাংকে থাকা অবস্থায় আহত ওই সেনাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সিরীয় সরকারি বাহিনীর হামলায় ইদলিবে এ নিয়ে ১৬ তুর্কি সেনার প্রাণহানি ঘটল।
এর আগে ইদলিবে হামলা চালিয়ে সিরীয় সামরিক বিমান ধ্বংসের হুমকি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে হটাতে তুর্কি সেনারা যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমরা পদাতিক ও বিমান বাহিনীর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করব। তাছাড়া চলতি মাসের শেষ নাগাদ আমাদের ঘাঁটির চারপাশ থেকে তাদের সরিয়ে দেয়া হবে। এরদোগান আরও বলেন, ইদলিবে রুশ ও সিরীয় বাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকলে ইদলিবের বাইরেও সিরীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালাবে তুরস্ক।
বিশ্লেষকদের মতে, রুশ সমর্থিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নির্দেশে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে জোরালো সেনা অভিযান শুরু হয়। আর এতেই নতুন করে শরণার্থীদের ঢল নামার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও সাঁজোয়া যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ ইদলিব ছেড়ে পালিয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্তমানে তুরস্কে আশ্রিত অবস্থায় আছে আরও ৩৫ লাখের অধিক সিরিয়ান শরণার্থী। যদিও উত্তেজনার কারণে নতুন করে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কায় রয়েছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। সূত্র: মিডল ইস্ট আই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন