কুমিল্লা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) এবং শিক্ষকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ২৯ ও সাধারণ ধারা ৩১ অনুসারে(মামলা নং ৩১)মামলা এবং ঐ শিক্ষার্থীর সনদপত্র সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের আয়োজনে শহিদ মিনারে ‘কবর’ নাটক পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু সময় পর নাটকটি বন্ধ করে দেয় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরবর্তীতে থিয়েটারের সাবেক সভাপতি ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মেহেদি হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে বলা হয়, "কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পতিতালয়। যার দালাল হচ্ছে সবকটা শিক্ষক আমি পুনরায় বলছি সবকটা শিক্ষক"। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত দেন মেহেদি। এই ঘটনায় গত রোববার বিশ্ববিদ্যলায় শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক নিয়ে অশালীন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কর্তৃক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা এঘটনায় মর্মাহত, আমরা এ ভেবে দুঃখিত এবং লজ্জ্বিত যে আমরা কাদেরকে পড়াচ্ছি। আমরা এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনেক অবহিত করেছি এবং বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে সোমবার মেহেদি হাসানের শাস্তি লাঘব করার দাবিতে বিশ^বিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে থিয়েটারের সদস্যরা। তাদের দাবি, ক্ষমা চাওয়ার পরেও প্রশাসন বড় শাস্তি দিচ্ছে।
মামলার বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মামলা করা হয়েছে। তাঁর সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর সনদ কেন স্থায়ী বাতিল করা হবেনা এই মর্মে তাকে শোকজ করা হবে। কিছু বিষয় আছে যার কোন ক্ষমা নেই।'
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন