শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে দিনাজপুর

জোবায়ের আলী জুয়েল | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ভাষা দিবস স্মরণে
বাংলার ইতিহাসে বাঙালির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দুটি গৌরবজ্জোল ঘটনা হলো বাহান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এ দুটি মহান আন্দোলনে বিজয়ী হয়েছি।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিনা উষ্কানিতে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার, আবুল বরকত, আব্দুল সালাম, শফিউর রহমান, আব্দুল আউয়াল, মোঃ অহিউল্লাহ ও নাম না জানা অগনিত শহীদের রক্তে রঞ্জিত হলো ঢাকার রাজপথ।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে যে সব ছাত্রজনতা, সাধারন মেহনতি মানুষ জীবন কে বাজী রেখে, তুচ্ছ জ্ঞান করে নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা মায়ের ভাষাকে ছিনিয়ে এনেছেন ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষনে তাদের আমরা আজ হৃষ্ট চিত্তে অভিবাদন জানাই। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ঢাকার এই একুশের গণহত্যার ঢেউ এসে লাগলো আমাদের এই দিনাজপুর শহরে। সর্বস্থরের জনগনের প্রচন্ড গণ বিস্ফোরনে দিনাজপুর শহর প্রকম্পিত হয়ে উঠলো।
দিনাজপুরে ৫২’এর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বে ও সংগঠনের যারা সর্বাগ্রে এগিয়ে আসে তারা ছিল অধিকাংশই স্কুল কলেজের দুঃসাহসী ছাত্র অনেক দুঃসাহিনী ছাত্রীও ছিল জড়িত। অধিকাংশ সচেতন নেতৃ স্থানীয় ব্যাক্তি-শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবী, চিকিৎসাজীবী, বণিক ব্যবসায়ী নির্বিশেষে লোক সাধারন ভাষা বিদ্রোহের সঙ্গে একাত্বতা ঘোষনা করেন। “রাষ্টভাষা বাংলা চাই” এ স্লােগানে মুখরিত হয় দিনাজপুর শহর। ১৯৪৮ সালে দিনাজপুর শহরের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলেনের মুখ্য ভূমিকা ছিল দিনাজপুর শহরের ছাত্র ও যুব সমাজ। তৎকালীন জেলায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরেন্দ্র নাথ কলেজ (বর্তমান সরকারি মহিলা কলেজ), জেলা স্কুল, মহারাজা গিরিজানাথ হাই স্কুল, গোলাপ বাগ মাদ্রাসা, দিনাজপুর একাডেমী স্কুল, গর্ভমেন্ট গার্লস স্কুল ও স্বারদেশ্বরী গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
দিনাজপুরে ভাষা আন্দোলনের উজ্জল প্রদীপ ছিলেন ছটি ভাই (মির্জা নুরুল হুদা ) তার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী আসলেহ ভাই। ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের অন্যতম বীর সৈনিক ছিলেন অকুতোভয় ছাত্রনেতা মরহুম গোলাম রহমান এ্যাডভোকেট। রাজশাহী কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। উর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। জিন্নাহ সাহেবের এই উক্তির বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করায় তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে বহিস্কার হন। আশ্রয় নেন দিনাজপুর শহরে।
জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দবিরুল ইসলাম ছিলেন দিনাজপুরে সে সময় জনপ্রিয় তুখোড় ছাত্র নেতা। তার মধ্যে ছিল অসাধারণ কন্ঠশক্তি, কর্মশক্তি ও জনমত সংগঠনে মায়াময়ী সন্মোহনী শক্তিও। দূর্ভাগ্য এই যে, অসাধারন তেজস্বী ও নির্ভীক প্রতিবাদী ছাত্রনেতা দবিরুল ইসলাম দূরারোগ্য রোগে অক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
ভাষা আন্দোলনের সূচনায় জাতীয় পর্যায়ের একজন দুর্দান্ত বীর সৈনিক ছিলেন দিনাজপুরের গৈারব এস, এ, বারী,এ টি (সফিউদ্দিন আব্দুল বারী আজিজ তৈমুর)। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রনেতা। সেই সঙ্গে সদ্য গঠিত ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যও।
তৎকালীন ঢাকায় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহবায়ক ড. নূরল হক ভূঁইয়া বলেন- ঢাকায় জিন্নাহ তার ভাষনের এক স্থানে যখন বললেন (২৪ মার্চ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ) ‍Urdu and urdu should be the state language of Pakistan” উর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা অন্য কোনো ভাষা নয়” সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল মতিন ও আহসান উঠে দাড়িয়ে ঘড় ঘড় বলে চিৎকার করে উঠেন এবং এর পরপরই সমগ্র হল ঘড় ঘড় ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। জিন্নাহ বেগতিক দেখে ভাষণ সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়েন। দিনাজপুর বাসীর জন্য আরো গৌরবের বিষয় এই যে, পাকিস্তানি নেতার অন্যায় ঘোষনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ নিক্ষেপ কারী ছাত্রনেতাদের একজন ছিলেন দিনাজপুর বাসী ছাত্রনেতা এস, এ, বারী এ টি। তিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র।
অন্যতম ভাষা সেনাপতি এস, এ, বারী হয়তো রাজধানীর গোষ্ঠীভূক্ত লোক ছিলেন না-তিনি ছিলেন সুদুর দিনাজপুরের একজন কৃতি সন্তান। ২১’এর ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রথম প্রস্তাবক ও অগ্রগামী ভূমিকা পালকের অন্যতম ছিলেন। ব্যাক্তি জীবনে এস, এ, বারী ছিলেন দিনাজপুরের বারের একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী, নিবেদিত সমাজ কর্মী ও সর্বজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সন্মানীয় উপ-প্রাধান মন্ত্রী ছিলেন। মাওলানা ভাসানীর অকৃত্রিম স্নেহ ধন্য আজীবন ন্যায় পন্থী নেতা এস, এ, বারী এ টি ১৯৮৭ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে মো. সুলতান বৃহত্তর দিনাজপুর বাসী হয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৫১ সালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আসেন দিনাজপুর শহরে। মাওলানা ভাসানী এ্যাডভোকেট রহিম উদ্দিন আহমেদ সাহেবের বাড়ির সম্মুখের মাঠে এক জনসভায় দৃঢ় কণ্ঠে পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক স্বায়ত্ত শাসনের ও বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে এবং বহু সরকারি নেতার সমালোচনা করেন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে দিনাজপুরে বৃহত্তর হরতাল পালিত হয়েছিল। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে নব গঠিত মুসলিম আওয়ামী লীগ দিনাজপুর জেলা শহর শাখার নুরুল হুদা মির্জার নেতৃত্বে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্রকর্মী এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ও শহরের অন্যান্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করেন হরতাল। শহরের স্কুল, কলেজ, হাট বাজার, দোকান পাঠ, অফিস আদালতে পালন করা হয় পূর্ণ হরতাল। হরতাল শেষে মিছিল করে ছাত্র জনতা গোলাপ বাগ মাদ্রাসা মাঠে সমেবেত হয়। সমবেত সভায় প্রস্তাব নেয়া হয় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার। কিন্তু খবর আসে ঢাকায় ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। তাতে সালাউদ্দিন নামসহ অনেক ছাত্র নিহত ও আহত হয়েছে। নূরুল হুদা মির্জা ছোটী, আসলেউদ্দিন, ছাত্রনেতা আব্দুল হাফিজের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় বের হয় বিক্ষোভ মিছিল। ঐ ছাত্র মিছিলটি বজ্র কণ্ঠে প্রতিবাদ জানায় বর্বর ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মিছিল থামিয়ে অশ্রুসিক্ত আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা আব্দুল হাফিজ, নুরুল হুদা মির্জা ছোটী। অনুপ্রাণিত উদ্দীপ্ত করেন শহর বাসীকে। ২১ ও ২২ ফেব্রæয়ারি ছাত্র হত্যার প্রতিবাতে শহর ময় পালিত হয় হরতাল। হাজার হাজার ছাত্র জনতা মিছিলে যোগদেয়। মিছিল শেষে দিনাজপুর ইন্সিটিটিউট প্রাঙ্গণে সভা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুম রহিমউদ্দিন এ্যাডভোকেট সাহেবের সভাপত্বিতে বত্তৃতা করেন আব্দুল হাফিজ, নুরুল হুদা মির্জা ছোটী, অধ্যাপক মোকারম হোসেন। এরপর আরম্ভ হয় স্বৈরাচারী মুসলিম লীগ সরকারের দোসরদের দিনাজপুর শহরে আন্দোলন কারীদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতন। এ্যাডভোকেট রহিমউদ্দিন আহমেদ, নুরুল হুদা মির্জা ছোটী, দবিরূল ইসলাম, গোলাম রহমান, নাসিম চৌধরী, এম, আর আখতার মুকুল ও তৎকালীন বিপ্লবী রাজনৈতিক নেতা অনিল রায় নিরাপত্তা আইনে হন বন্দি। দিনাজপুরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ আলী,গোলাম কিবরিয়া,রফিক চৌধুরী, নাসিম চৌধুরী, আব্দুর রহমান চৌধুরী, আজিজুল ইসলাম জুগলু, দলিল উদ্দিন, শেখ আকরাম আলী, আমানুল্লাহ, মোতালেব, মজুু খাঁ, তারা ভাই, তোজা ভাই, হেনা ভাই, মন্টু ভাই, রাজু ভাই, কাজল ভাই, ভাদু ভাই,মোহাম্মদ ফরহাদ,তানু ভাই,টুরু মিঞা,আমিন উদ্দিন এমনি আরো অসংখ্য ছাত্রনেতা ও ছাত্রের নাম জড়িয়ে আছে যাদের নাম বলে শেষ করা সম্ভব নয়। এরা অধিকাংশ স্থানীয় কলেজ ও স্কুলের ছাত্র ছিলেন এবং তারা সবাই ভাষার দাবীতে আন্দোলনে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঐ সময় বগুড়াবাসী ড. মোস্তাফা, নুরুল ইসলাম ও তদীয় ভ্রাতা এম,আর আখতার মুকুল (বেতারে চরম পত্র পাঠক ৭১’এর স্বাধীনতায়) দিনাজপুর এস,এন কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং উভয়েই ছাত্রনেতা রূপে ভাষা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেন।
সুরেন্দ্র নাথ কলেজের ছাত্রাবাসে নেপণ্যে ভাষা আন্দোলনে তৎকালীন ছাত্রদের উৎসাহ দিচ্ছিলেন সুরেন্দ্র নাথ কলেজের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ্র চন্দ্র দেব, অধ্যাপক কাজী আবুল হোসেন, অধ্যাপক তারিনী ভট্টাচার্য, আমানুল্লাহ সরকার এবং আরো কয়েক জন বুদ্ধিজীবী ব্যক্তি। ২২ ফেব্রুয়ারি আরো ৩ জন ছাত্রনেতা মোহম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী ও শফির উদ্দিন বন্দী হন। অবশ্য পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।
এমনকি ভাষা আন্দোলনের সম্পর্ক থেকে বাদ ছিলেন না দিনাজপুরের নারী সমাজও। স্বেচ্ছা সেবিকার দায়িত্বে প্রথম এগিয়ে আসে কলেজের পর্দামুক্ত ছাত্রীরা। তাদের অগ্রগামিনী কুসংস্কার মুক্ত ছাত্রীনেতা ছিলেন কচিমনি। কচিমনি ও তাঁর সহযোগিনীদের মধ্যে খুকুমনি, হামিদা বানু, আমিনা দানেশ, রওশন আরা,জিনাত আরা, মমতাজ বেগম প্রমূখ নামগুলি উল্লেখ্য। এমন কি আন্দোলন থেকে বাদ ছিলেন না অনেক শিক্ষিত পরিবারের শিক্ষিত নারীও। যেমন নুরজাহান বেগম, ফাতেমা বেগম, শাহজাদী বেগম, বিশিষ্ট সাংবাদিকা লায়লা সামাদ প্রমূখ। এই নারী নেত্রীরা ভাষা আন্দোলনের মিটিং ও মিছিলে সর্বত্তই অংশ গ্রহণ করতেন তারা। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের যোগদানের এমন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পূর্বে দেখা যায় নাই।৫২’এর ভাষা আন্দোলনে সেই সংগ্রাম মূখর দিনগুলিতে শহরের নারী সমাজের সক্রিয় অংশ গ্রহণ ছিল। মরহুম কাদের বক্স উকিলের স্ত্রী কয়েকটি সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গর্ব ও গৌরবের কর্ম এই যে দিনাজপুর যে তেজস্বী ধারায় ভাষা আন্দোলনের শুরু সে ধারা শেষ পর্যন্ত ছিল অব্যাহত গতিতে বেগবান। এর প্রধান কৃতিত্ব ছিল ছাত্র সংগঠনের ঐক্যতা এবং ছাত্রনেতৃত্বের অসম সাহসিকতা।
ছাত্ররা তৎকালীন মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী নূরুল আমীন নামের নূরল আমীন ,মার্কেটের (বাহাদুর বাজার) নাম দেন নিহত ছাত্র সালাউদ্দিনের নামে। সালাউদ্দিন নামের ছাত্র নিহত হয়েছিল এর সমর্থন ও দাবী তখন পযর্ন্ত কেন্দ্রীয় তৎকালীন ছাত্র নেতা গাজিউল হক (বর্তমানে প্রয়াত­) করে আসছিলেন। এছাড়াও ঢাকায় বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক, শফিউর, আব্দুল আউয়াল ও মো. অহিল্লাহ সহ আরো অনেক ছাত্র ও জনতা সে সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
মুসলিম লীগে থাকা সত্বেও মুসলিম লীগের কয়েক জন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভাষা আন্দোলনের নেপথ্যে সমর্থন দেন্ মরহুম তোজাম্মেল আলী (এ্যাডভোকেট) ও মরহুম আফতাব উদ্দিন মোক্তার, সামসুদ্দীন আহমেদ (দৈনিক তিস্তার সম্পাদক মিজানুর রহমান লুলুর পতিা) খান বাহাদুর আমিনুল হক ওরফে ডোডো মিয়া প্রমূখ মিছিলে যোগদিয়ে সরকার বিরোধী ভূমিকায় অংশ নেয়। এভাবে ৫২’এর একুশে আন্দোলন স্বতস্ফুর্ত সমর্থনে যেমন শক্তিশালী হয়ে ওঠে তেমনি তৎকালীন সরকারের পায়ের তলা থেকে ও ধীরে ধীরে মাঠি সরে যেতে থাকে। শোকের প্রতীক হিসেবে সমগ্র দিনাজপুরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিরাট শোক মিছিল, কালো পতাকা বহন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। সমগ্র দিনাজপুরের আবাল বৃদ্ধবনিতা শোকে একেবারে ভারাক্রান্ত ও মুহ্যমান হয়ে পড়ে।
সুতরাং একুশকে শুধু অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ না রেখে তার মূল চেতনায় ফিরে যেতে হবে। সর্বপ্রকার অন্যায়, অত্যাচার এবং সর্বপ্রকার জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও সোচ্চার হতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন