উখিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের উখিয়া সরকারী হাসপাতালের অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ারের ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের অর্থ বিভাগ দেখাশুনা করার সুযোগে অফিস সহকারী ফরিদ আলম অবৈধভাবে বহু কালো টাকার মালিক বনে গেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে কর্মরত নার্সদের সাথে এক নারী কেলংকারীর ঘটনা নিয়ে পুরো হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, উখিয়া হাসপাতালের অফিস সহকারী ফরিদ আলম দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে একই স্থানে চাকুরী করে আসছেন। একই সাথে ক্যাশিয়ারেরও দায়িত্ব পালন করছেন। অল্প সময়ে ফরিদ আলম বহু টাকার মালিক বনে গেছেন। হাসপাতালের সামনে উচ্চমূল্য দিয়ে জায়গা ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।
অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ, পথ্যসামগ্রী ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন মালামাল ক্রয় তিনি নিজের হাতেই করেন। গোপনে বিভিন্ন ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে হাসপাতালের বিভিন্ন পণ্য ও খাবার সামগ্রী তিনি সরবরাহ করে থাকেন। এসব খাত হতে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য কর্মচারী বেতন ভাতা তার হাত দিয়ে হয়। নির্ধারিত সময়ে বেতন ভাতা পেতে হলে নির্দিষ্ট হারে কমিশন দিতে হয় তাকে। বলতে গেলে অফিস সহকারী ফরিদ আলমের হাতে সবাই জিম্মি।
অভিযোগে প্রকাশ, হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাÐ ও সভা-সেমিনার এবং পথ্যসামগ্রী ক্রয় করছে মর্মে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে প্রতি মাসেই অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তবে হাতিয়ে নেওয়ার একটি ভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাকে দিয়ে তার সকল অবৈধ কর্মকাÐ জায়েজ করছে বলেও সূত্রটি জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন