চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের অন্যতম ডিরেক্টর ঝেং ঝোংগে জানিয়েছেন, এপ্রিলেই ‘ভ্যাক্সিন’ তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। বাজারে না আনলেও অন্তত ক্লিনিকে পৌঁছে যাবে সেই ‘ভ্যাক্সিন’। জরুরি ক্ষেত্রে সেই ‘ভ্যাক্সিন’ ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, এটি একটি নতুন ভাইরাস, তাই একে বুঝতে একটু সময় লাগবে। ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য স্পেশাল টিমও তৈরি করা হয়েছে। পাঁচ ধরনের প্রযুক্তিতে একইসঙ্গে কাজ করছে চীন, যাতে দ্রæত প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়। খবর ডেইলি মেইলের।
ইতোমধ্যে ৮৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৯৫ জনে। অপরদিকে ৫৭ হাজার ৬১১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখন্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৬৫১ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৭০ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৬৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৪৭ এবং মারা গেছে ১২৪ জন। অপরদিকে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের।
এছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ডসহ ৮৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন