মাগুরায়এক পরিবারের ৪ সদস্যকে অপহরণের পর নির্যাতন এবং মুক্তিপণ চাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুকান্ত অধিকারী শিশিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার মাগুরা সদর থানায় মামলা রেকর্ডের পর এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়,মহম্মদপুর উপজেলার চর পাচুড়িয়া গ্রামের কৃষক বাদশা মোল্যা, দুই ছেলে ইমামুল ও আজিজুল এবং তাদের চাচাতো ভাই হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক অফিসে যান। একটি ৭ ধারা মামলায় হাজিরা দিয়ে দুপুরে ফেরার সময় জেণা প্রশাসকের অফিসের গেট থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাদুর রহমান সাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সুকান্ত অধিকারি শিশির, প্রচার সম্পাদক জিবলু মোল্যা ছাড়াও ইমন, নয়ন ও টুটুল তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে কৃষক পরিবারটিকে তারা গাড়িতে তুলে শহরের দোয়ারপাড় এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
শুক্রবার বাদশা মোল্যার ছেলে ইমামুল হক অভিযুক্ত ৬ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানাঢ, অপহরণকারীরা একটি পরিবারকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং ৫ হাজার ১৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা চেয়ে বারবার ফোনও করে। পুলিশ জানতে পেরে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাচ্চু এবং ইমনকে আটক করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী ইমামুল হক জানান, সম্প্রতি সে বাইরাইন থেকে দেশে ফিরেছে।তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা সাচ্চুর পরিবারের কোনো বিরোধ নেই। এমনকি তাদের বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের। কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের নামে শুক্রবার মামলা হয়েছে। দুজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন