গাছ শুধু রৌদ্র গরমে স্বস্তির ছায়াই দেয় না, প্রতিদিন টেনে নেয় বিষাক্ত কার্বন- ডাই-অক্সসাইড আর ত্যাগ করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন যা মানুষ ও জীবক‚লের বেঁচে থাকার নিয়ামক। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্য লাল দাগ দেয়া হয়েছে শতবর্ষী গাছসহ ১২শ’ বিভিন্ন জাতের গাছে । এগুলো কেটে ফেলা হবে।
অপরদিকে, অধিগ্রহণ করা হয়েছে দেড়শত একর জমি। উচ্ছেদের শিকার মানুষ পুর্নবাসনের দাবী করছেন। আর পরিবেশবিদরা বলছেন, গাছ রক্ষা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যায় কিনা ? সেটি বিবেচনা করতে। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন, পরিবেশ ও মানুষ সবার কথা বিচেনায় রেখেই করা হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। সূত্র মতে, রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৫০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে। এলাকা জুড়ে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার প্রজাতির গাছ। পাকশী পদ্মা তীরে গাছ পরিবেষ্টিত নির্মল পরিবেশে ঈদে ও বিভিন্ন উৎসবে মানুষজনের সমাগম হতো। পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার করতেন অনেকে। কথা উঠেছিল এলাকাটি পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এখন আর মনে সেটি হবে না। নিরাপত্তা বেষ্টনী বিস্তৃত হবে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পাবনা অংশের পূর্ব পাড় পর্যন্ত।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে নিরাপত্তা জরুরী। পাশাপাশি মানুষ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ । রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরীর আসলে কোনো কর্তৃপক্ষ নন। এটি সরকারের অন্য মহলের কাজ। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের এবং ইতোপূর্বে বৃটিশ আমলে আন্দোলন সংগ্রামে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ সহ অনেক ইতিহাসের সাক্ষি শতবর্ষী গাছগুলো হয়তো কেটে ফেলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন