পটুয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় মোসা. কনা আক্তার (২৪) নামে দুই শিশু সন্তানের জননীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ মাদকাসক্ত স্বামী আবুল বাশার (৩০)কে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে এলাকাবাসি। পটুয়াখালী সদর উপজেলার মধ্য টেংরাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর ইসমাইল মৃধা পলাতক রয়েছে। সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাঝিখালী গ্রামে দরিদ্র প্রতিবন্ধী সিরাজ মৃধার মেয়ে কনা। নিহত ওই গৃহবধুর পিতা সিরাজ মৃধা ও তার পরিবারের অভিযোগ-গত সোমবার ২মার্চ পরিবারের সকলে মিলে দুপুরের খাবার খেতে বসে। এ সময় ডাল রান্না খারাপ হওয়ার অজুহাত তুলে শ্বশুর ইসমাইল মৃধা পুত্রবধু কনাকে বকাঝকা করে।
মাদকাসক্ত স্বামী বাশার তার পিতার সাথে মিলে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। একপর্যায় স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে কনার হাত-পা বেধে মটরসাইকেলে ব্যবহৃত ঘরে মজুদ রাখা পেট্রোল কনার শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাড়ির আঙিনার পাশের একটি ছোট ডোবায় নেমে ডাক চিৎকার শুরু করে। কনার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে কনাকে উদ্ধার করে। ততক্ষনে তার শরীরের ৫০ ভাগ পুড়ে যায় বলে প্রতিবেশিরা জানায়। উদ্ধারের পর প্রতিবেশিরা কনাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা কনার অবস্থার অবনতি দেখে বরিশাল প্রেরণ করেন। ঘটনার দু’ দিনের মাথায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কনাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসার পর শুক্রবার বিকালে মারা যায়। খবর পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের একটি দল ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে কনার স্বামী বাশারকে আটক করে এবং কনার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, এ ঘটনায় রোববার সদর থানায় মামলা হয়েছে। স্বামী বাশারকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন