সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। সেই সঙ্গে চাইতে হয়েছে ক্ষমাও। জরিমানার অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে গতকাল বুধবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল আলমের আদালত তাকে খালাস দেন । খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ‘গ্রামীণ কমিউনিকেশনন্স’র আরও তিন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল আলমের আদালতে তিনিসহ চার আসামি এসে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারা আদালতকে জানান, এ ধরণের ভুল তাদের আর হবে না। তারা এরপর থেকে শ্রম আইন মেনে চলবেন। পরে বিচারক ড. ইউনূসসহ চার আসামিকে সাড়ে ৭ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাদের ক্ষমা করে মামলা থেকে খালাস দেন।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি শ্রম আইনের ১০টি নিয়ম লঙ্ঘন করায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম। মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও তিনজনকে বিবাদী করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরী শংকর। এজাহরে বলা হয়, মামলার বাদী ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা ১০টি বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখতে পান। এর আগেও গত ৩০ এপ্রিল বাদীপক্ষের এক পরিদর্শক প্রতিতষ্ঠানটি পরিদর্শন করে ত্রæটিগুলো সংশোধনের নির্দেশনা দেন। এরপর ৭ মে ডাকযোগে এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষ জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। পরে ২৮ অক্টোবর বর্তমান পরিদর্শক আবারও তা অবহিত করেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিবাদীরা আবারও সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের সময় অনুযায়ী তারা জবাব দাখিল করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদীরা শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। এমতাবস্থায় বিবাদীরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ ধারা ৩৩ (ঙ) এবং ৩০৭ মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধ বলে বাদী মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন