তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে পূর্ববিরোধের জের ধরে ও শত্রæতা করে প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোরের কলমা ইউপির চৈতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
গত ৯ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে চৈতপুর গ্রামের আমবাগানের প্রায় আড়াইশ তাজা গাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পরদিন রোববার হেডবিলী গ্রামের সাইদুর রহমান বাদি হয়ে চৈতপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন সহ ৭ জনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের কলমা ইউপির হেডবিলী গ্রামের মৃত হাফেজ ইদ্রিস আহম্মদের পুত্র সাইদুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোলেমান আলীর কাছে থেকে ১৯৭৬ সালে চৈতপুর মৌজায় ৩৫১ নম্বর দাগে ৫১ শতক ধানী জমি ক্রয় করেন। তিনি এসব জমি বংপুর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর পুত্র মোজাম্মেল হোসেনের কাছে বর্গা দেন। কিন্তু মোজাম্মেল হোসেন গোপনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থেকে টাকা নিয়ে কিছু জমি (কট) বন্ধক রাখেন।
অপরদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে মোজাম্মেল হোসেনের কাছে থেকে জমি ফেরত নিয়ে সাইদুর রহমান প্রায় (৫১ শতক) ৫ বিঘা জমির উপর আমবাগান তৈরী করেন। বাগানে প্রায় দুইশ আমগাছ ও ৫০টি মেহগিনি গাছ লাগান। জমি ফেরত নেয়ায় পর থেকেই মোজাম্মেল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ও বাগানের ক্ষতি সাধন করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেন।
গত শনিবার রাতে মোজাম্মেল হোসেন তার লোকজন নিয়ে এসব গাছ কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাইদুর রহমান বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ মোজাম্মেল হোসেন রাঁতের আধারে এসব গাছ কেটে ফেলেছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হোসেন অভিযোগ অম্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে সাইদুর রহমান নিজেই এসব গাছ কেটেছে। তিনি বলেন, আমবাগান করা দু’বছর হয়েছে কেউ দুশমনি করে গাছ কাটতে চাইলে অনেক আগেই কাটতে পারতো। এব্যাপারে তানোর থানার ডিউটি অফিসার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন