করোনাভাইরাসের জেরে বাতিল হয়েছে একের পর এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ইউরোপের একাধিক দেশের হাই প্রোফাইল ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে শুটিং বিশ্বকাপের মতো ইভেন্ট বাতিল করে দিতে হয়েছে। একইরকম সংকটে টোকিও অলিম্পিকও। করোনার জেরে বিশ্বের ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বড় ইভেন্টের উপর এখন কালো মেঘের ছায়া। ক্রমশ জোরাল হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক বাতিলের দাবি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।
বছরের শুরু থেকে চীনে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে নতুন ধরনের জীবাণু, নোভেল করোনা ভাইরাস কভিড-১৯। খুব কম সময়ের মধ্যেই তা মহামারির আকার ধারণ করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, করোনা প্রাণ কেড়েছে অন্তত ৬ হাজার জনের। শুধু চীন নয়, বিশ্ব জুড়ে গবেষকরা নেমে পড়েছেন নোভেল করোনা রুখে দেওয়ার ওষুধ তৈরিতে। কিন্তু, সমাধানসূত্র অধরা এখনও।
চীনের গণ্ডি পেরিয়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই জাপানে করোনার প্রভাবে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত কয়েক হাজার মানুষ। টোকিওতেও করোনার প্রভাব যথেষ্ঠ লক্ষণীয়। এই পরিস্থিতিতে জাপানের স্থানীয়রাও দাবি জানাচ্ছেন, অলিম্পিক বাতিল করার। কারণ তাদের ধারণা, অলিম্পিকের জন্য হাজার হাজার মানুষ জাপানে গেলে তাঁদের সঙ্গে করোনাও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ, প্রশাসনের পক্ষে এত মানুষের দিকে নজরদারি রাখা সম্ভব নয়। টোকিওর এক ব্যবসায়ী এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, মানুষের জীবন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজকদের সেটা ভাবা উচিত।
যদিও এসব সত্ত্বেও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং অলিম্পিকের আয়োজকরা বলছেন, নির্ধারিত সূচি মেনেই অলিম্পিক শুরুর যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। টোকিও অলিম্পিকের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এই পরিস্থিতিতে অলিম্পিক নিয়ে জরুরি পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে আইওসি। আজ (মঙ্গলবার) সব আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা তাতে অংশ নেবেন। সেখানেই ঠিক হবে অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন