সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বাড়িতেই কাজ করছেন বহুজাতিক কোম্পানি ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২০, ১২:১৭ পিএম

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার সারা বিশ্বে তাদের সব কার্যালয়ের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের বেসরকারি সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকও কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামীকাল থেকে তাদের এ আদেশ কার্যকর হবে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মীরা সাবধানতার অংশ হিসেবে গতকাল থেকে বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে দুদিনের জন্য এটি শুরু হলেও পরিস্থিতি অনুসারে পদক্ষেপ নেবে তারা।
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্বব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজ (গতকাল) প্রথমবারের মতো কর্মকর্তারা বাড়িতে বসেই কাজ করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে দুদিনের জন্য এটি চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি অনুসারে ওয়ার্কস ফ্রম হোম বিশ্বব্যাংকে চালু আছে। সেটিই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কার্যালয়ের মাধ্যমেই এ দেশসংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্বব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও এডিবি। তবে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের কর্মীদের নিয়ে বেশ চিন্তিত। বিশ্বব্যাংক, আইএফসি ও এডিবির বাংলাদেশ কার্যালয় সতর্কতা হিসেবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করেছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় কিংবা অনুমোদন নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সংশ্লিষ্টদের।

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোর জন্য গত ৩ মার্চ ১২ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক সহযোগিতার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। এ প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশও অর্থ পাবে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০ কোটি ডলারের একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০ কোটি ডলারের অর্থায়ন অনুমোদনের আবেদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। তবে বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ক ফ্রম হোম দীর্ঘমেয়াদে চালু থাকলে অর্থায়ন পাওয়া দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলালিংক। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মীদের বাসায় থেকে অফিস করতে বলেছে। এদিকে গ্রামীণফোন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এমপ্লয়ি ও ব্যবসায়িক পার্টনারদের নিরাপদ রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন বিবেচনায় নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এমপ্লয়িদের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি, যেখানে আমাদের ৭ কোটি ৬৫ লাখ গ্রাহকের চলমান সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন