জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আইসোলেশন কক্ষে সাধারণ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের নির্ধারিত ওই কক্ষে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। এ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন ও স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টিহয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ীতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সারাদেশের মতো সরিষাবাড়ী হাসপাতালের দো’তলায় একটি কক্ষে চার শয্যার আইসোলেশন কক্ষ চালু করা হয়। করোনাভাইরাস উপসর্গের কোনো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে ওই কক্ষে ভর্তি রাখার নিয়ম। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। আইসোলেশন কক্ষের চারটি বিছানাতেই তিনজন সাধারণ রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই স্থানীয়। ভর্তিকৃতরা চিকেন বসন্ত, পেট ব্যথা ও রক্তশূন্যতা রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে করেনাভাইরাসের কোনো উপসর্গে এখানে ভর্তি করা হয়নি। তারা এটাও জানেন যে, কক্ষটি করোনাভাইরাস সন্দেহে আসা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবুও তারা এ কক্ষে রোগী ভর্তি করে রেখেছেন। রোগী ও তাদের স্বজনদের দাবি, কর্তৃপক্ষ সুযোগ দিয়েছে বলেই তারা উঠেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের দো’তলায় চার শয্যার আইসোলেশন কক্ষ চালু করা হয়েছে। এ উপজেলায় কেউ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এটি চালু করেছি। আপাতত কাজে লাগছে বলেই সাধারণ রোগী রাখা হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন