করোণা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধান বিষয় হচ্ছে হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখা। আর হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু করোণা আতঙ্কের পর বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে তীব্রভাবে। এই সুযোগে দাম বৃদ্ধি করেছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা। এমন অবস্থায় স্যানিটাইজার সংকট দূরীকরণে ও দরিদ্র জনসাধারনকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে তেরী করেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যেগে স্বল্পমূল্যের এই স্যানিটাইজার তৈরী করা হয়। পরে এসব স্যানিটাইজার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম জানান, ‘আমরা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পক্ষ থেকে ‘ফিজিকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ প্রস্তুত করি। এ সময় আরো ছিলেন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, সহকারী অধ্যাপক মোঃ মশিউর রহমানহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের উদ্যেগে ‘কেমসল’ নামের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করা হয়।
যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুল আবছার।
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যাপ্ত অর্থের যোগান না থাকায় আমরা স্বল্প পরিসরে এটি তৈরি করে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত বিভিন্ন দরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। আর্থিকভাবে যদি প্রশাসনের সহযোগিতা পাই তাহলে বড় পরিসরে বাজারে সরবরাহ করা যায় কিনা সে বিষয়েও চিন্তা করবো। আমাদেও তৈরী ১০০ মি.লি. হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২০-২৫ টাকায় বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব।’
এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে সহযোগিতা করছেন বিভাগের শিক্ষক ড. এস এম তারেক আবেদীন, ড. মীর তামজীদ রহমান, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব আলমসহ বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন