ঢাকার কেরানীগঞ্জে করোনাভাইরাস সন্দেহে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে এখন ৪৩জন। দিনদিন এদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদের সবাইকে নিবীর পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ইতালি থেকে আসা ৩২জন রয়েছে। বাকীরা হচ্ছে কুয়েত, বাহরাইন, মালেশিয়া, পতৃূগাল ও ভারত থেকে আসা প্রবাসী। কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি এখন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে কঠোর নজরদারী ও তদারকী। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের ১২জন কমৃকর্তাকে ১২টি ইউনিয়নের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তারা প্রতিদিন তাদের দ্বায়িত্বে থাবা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যাক্তিদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ জানান, তারা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিশেষভাবে তদারকী করছেন। এজন্য উপজেলা ১২জন কর্মকর্তাকে ১২টি ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে রাখা হয়েছে এবং তারাও সবসময় কে বিদেশ থেকে আসলো তার খবর তাৎক্ষনিকভাবে নিচ্ছেন।হোম কোয়ান্টোইনে থাকা কোন ব্যাক্তি যদি বাহিরে ঘোরাফেরা করলে তাদেরকে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়ার জন্য দুজন ম্যজিস্ট্রেটকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন চিকিৎসকগন নিয়মিতভাবে ওইসব কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যাক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। আজ বুথবার(১৯মার্চ) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন ৪৩জনের হোম করেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান ,গত এক সপ্তাহ আগেও মাত্র ৫জন হোম করেন্টাইনে ছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩জনে। তবে ইতালি থেকে আসা একজন ছাড়া আর অন্য কাউকেই জিনজিরা ২০শয্যা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়নি। তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মাত্র তিনদিন চিকিৎসা দেয়ার পরে আবার তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তারগন বিশেষ নিরাপত্তায় সকাল ও বিকেলে তাদের বাড়িতে গিয়ে নিবীরভাবে তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা পর্যবেক্ষন করছেন। ৪৩জনের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৫জন প্রায় ১৪দিনের কাছাকাছি সময়ে এসেছে। তবে এখনো তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সন্দেহজনক অবস্থা কাটেনি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিল ইসলাম অদিত জানান, হোমকরেন্টাইনে থাকা কোন ব্যাক্তির করোনাভাইরাসের সন্দেহ হলে তাকে জিনজিরা ২০শয্যা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে তার চিকিৎসা দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন