শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

উৎসবের নগরী লিসবন

প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বিমান বাহিনীর দু’টি এফ-১৬ জেট বিমানের পাহারায় পর্তুগালের বিশেষ বিমানটি যখন লিসবনের হামবুর্গ ডেলগাদো এয়ারপোর্ট স্পর্শ করল স্থানীয় সময় তখন বেলা ১২:৪০টা। সাথে সাথে দু’পাশ থেকে বিশাল পানির বোম্বার তাদের জাতীয় প্রতীক লাল-সবুজ রঙের ফেয়ারায় পানি ছিটাতে লাগল বিমানটিতে। বিমানবন্দরের বাইরে তখন হাজারো মানুষের অপেক্ষায় জাতীয় বীরদের অভ্যর্থনা জানাতে। উড়োজাহাজ থেকে প্রথমে বের হলেন তাদের সবচেয়ে প্রিয় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং কোচ ফার্নান্ডো সান্তোস। দুই নেতার অনুসরণে একে একে বেরিয়ে এলেন দলের বাকি সদস্যরাও। রোনালদো-নানি-পেপেরা মাতৃভূমির মুক্ত প্রাঙ্গণে পা রেখেই বুঝলেন দেশের জন্য কত বড় অর্জন বয়ে এনেছেন তারা। ফ্রান্সকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা ফুটবল দলের খেতাব অর্জন, দেশের ইতিহাসে যে অর্জন এবারই প্রথম। একটু বাড়তি উন্মদনা তো থাকবেই।
বিমানবন্দর থেকে দুটি ছাদখোলা বাসে চড়ে বসেন জাতীর নায়কেরা। রোনালদো গায়ে জড়িয়ে নেন প্রিয় জাতীয় পতাকাটি। হাজারো ভক্তদের ভিড় গলে এরপর লিসবনের রাস্তায় চক্কর দিতে থাকে বাসটি। প্রথমেই তারা দেখা করতে যান দেশের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজার উদ্দেশ্যে। এই অর্জনে ডি সুজা দারুণ খুশি। তাদেরকে জাতীয় বীর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তোমরাই হলে সাহস, সংকল্প, যুদ্ধজয়ের অনুপ্রেরণা আর মানবতার আসল উদাহরণ।” এছাড়া জাতীয় দলকে তিনি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার ‘মেরিট অব কমান্ডারর্স’ সম্মানে সম্মানিত করবেন বলে জানান। এর আগে পর্তুগালের কোন ক্রীড়াবিদই যে সম্মান পাননি।
এ তো গেল রাষ্ঠ্রীয় মর্যাদা। কিন্তু যে নগদ ভালোবাসা রোনালদোরা ভক্তদের কাছ থেকে পেলেন এর সাথে কি কোন কিছুরই তুলনা হয়। বিমান থেকে বেরিয়েই তারা সিক্ত হয়েছেন হাজারো মানুষের অভ্যর্থনায়। এরপর লিবসনের যেসব রাস্তা দিয়ে চক্কর মেরেছেন সেসব রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। এক সাথে এত মানুষের মুখে খুশির বারতা পৌঁছে দেওয়া কি কম গৌরবের। সেই রোববার রাত থেকেই যে উৎসব শুরু হয়েছিল পর্তুগাল জুড়ে, লিসবনে প্রিয় নায়কদের কাছে পেয়ে সেই উৎসব পায় নতুন মাত্রা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন