করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবিলায় পদক্ষেপ জোরদার করছে ব্রিটেন। দেশটিতে গ্রীষ্মের আগে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে গণহারে পরীক্ষা করা, সামাজিক দ‚রত্ব বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে শহর লকডাউন করে দেয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে আমরা এই রোগের গতিপথ পাল্টে দিতে পারবো। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। আরো বলেন, ঘোষিত পদক্ষেপগুলো সকলে মিলে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশ থেকে করোনা ভাইরাস বিদায় করা সম্ভব। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের সম্মেলনে আশার বাণী শোনালেও, জনগণকে পৃথক করে রাখতে, ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে নতুন কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা দেননি জনসন। যদিও সেদিন লন্ডনে চলাফেরা সীমিত করার খবর প্রকাশিত হয়েছিল স্থানীয় গণমাধ্যমে। নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কিনা জানতে চাইলে জনসন বলেন, আমরা বিজ্ঞানের নির্দেশনা মেনেই আগাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের পরামর্শ কাজ করছে কিনা সেটাও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। বিবিসি এখবর জানায়। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়লে বিশাল দুই প্রমোদতরীকে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। ইতোমধ্যেই দেশটির সরকারের কাছে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, স্প্রিট অব ডিসকোভারি ও সাগা স্যাফায়ার নামে প্রমোদতরী দু’টি টেমস নদীতে নোঙ্গর করে রয়েছে। দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়ে গেলে এ দু’টি জাহাজ ভাসমান হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা যায়, জাহাজ দু’টিতে দুই হাজারেরও বেশি কেবিন রয়েছে, যেগুলো সহজেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বিবিসি, ডেইলি মেইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন