কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি ও রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরে আটকা পড়েছে শত শত পাথর ও অন্যান্য মালামাল বহনকারী ট্রাক। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া আমদানি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে সব ধরনের মালামাল আগরতলা ইমিগ্রেশন দিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে আগরতলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের কাছে স্থলবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের বিষয়ে চিঠি চাওয়া হয়েছে। তারা এখনো চিঠি দেয়নি। আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ আব্দুল হামিদ বলেন, সকাল থেকে কোনো প্রকার যাত্রী পারাপার হয়নি। তবে যাত্রী পারপারের ক্ষেত্রে আগে থেকে দেওয়া নির্দেশনা এখনো চালু রয়েছে। আগরতলা ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের কয়েকজন যাত্রী আসার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানতে পেরেছি।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত থাকা এক চিকিৎসককে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুইদিন ধরে জ্বর-সর্দি ও গলা ব্যথায় ভোগার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখায় মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছে। তবে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক ছাড়া কোনো পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ছিলনা চিকিৎসকদের। ওই চিকিৎসক চেকপোস্টের মেডিকেল টিমে বেশ কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করেন। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই চিকিৎসক গত দুইদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। অসুস্থ বোধ করায় মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন