বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ফুটবল মাঠে খেলা নেই বললেই চলে। সহসা মাঠে গড়ানো নিয়েও রয়েছে বড় শঙ্কা। অবস্থা যে ভাবে আগাচ্ছে তাতে চলতি মৌসুমের কোন লিগই শেষ করা প্রায় অসম্ভব। আর তাতে ফুটবল ক্লাবগুলোর আয়ের উৎসও বন্ধ। ফলে ক্লাবের সাধারণ কর্মচারীদের বেতন দেওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে নিজেদের বেতনের ২০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জার্মানির শীর্ষ দুই ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ৮ মার্চ থেকে বুন্দেসলিগার খেলা স্থগিত হয়ে আছে। খুব শিগগিরই মাঠে খেলা শুরু হওয়ার সুযোগও কম। তাই আর্থিক ঘাটতি নিয়ে আগের দিন সোমবার দুই জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের আলোচনা করেন। খেলোয়াড়দের ইতিবাচক মনোভাবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে জার্মানির অন্যতম শীর্ষ গণমাধ্যম বিল্ড।
তবে যদি দর্শক শূন্য বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলা হয় তবে বেতনের ১০ শতাংশ কম নেওয়া হতে পারে। বায়ার্ন দলনেতা ম্যানুয়েল নয়ার, থমাস মুলার, রবার্ট লেভানডস্কি, ডেভিড আলবা, জশুয়া কিমিচ ও থিয়াগোর সঙ্গে বায়ার্ন প্রধান কার্ল-হেইঞ্জ রুমিনিগে, ওলিভার কান এবং হাসান সালিহামিদজিক আলোচনায় বসে এ সিদ্ধান্ত নেন।
বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ক্লাব বায়ার্ন খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ বিশাল অঙ্ক খরচ করে থাকে। এছাড়া ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় হাজারো কর্মচারী। বায়ার্নের ম্যানেজার লুসিয়ান ফেব্রে যিনি বছরে সাড়ে ৪ মিলিয়ন ইউরো ক্লাব থেকে বেতন নিয়ে থাকেন জানিয়েছেন, ২০ শতাংশ কম বেতন নিতে তিনি সানন্দে রাজি আছেন। অন্যদিকে বায়ার্নের মতো জায়ান্ট ক্লাব না হলেও ডর্টমুন্ডের বার্ষিক খরচও কম না। খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ বছরে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ক্লাবটি। তাই খেলোয়াড়রা চলতি মাসে ২০ শতাংশ কম নিলে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ইউরো থাকবে তাদের। তাই দিয়ে ক্লাবের প্রায় ৮৫০ কর্মচারীর চাকরি টিকে থাকবে। বিল্ডের সংবাদ অনুযায়ী, খুব শিগগিরই হয়তো জার্মানের আরেক শীর্ষ ক্লাব শালকেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন