অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৩৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। ৩৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যে ২৮০০ কোটি মার্কিন ডলারই আয় হয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত থেকে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বার্ষিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য বছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারে। লক্ষ্যমাত্রা থেকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ১২০ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩২৬ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে এই খাতের আয় ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৪২ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ওভেন খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আগের অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ৩০৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ডলার। সেই হিসেবে ওভেন খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ; প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ; হোম টেক্সটাইল খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং সিরামিক খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে বছরের ব্যবধানে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৭১ শতাংশ; কেমিক্যাল পণ্য রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম বায়ো প্রোডাক্ট রপ্তানি আয় ২৮২ দশমিক ৯৯ শতাংশ; চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্য রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ; রাবার পণ্য রপ্তানি আয় ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ; ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ; ফার্নিচার রপ্তানি আয় ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং পাট ও পাটজাতীয় পণ্য রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন