করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলার প্রত্যকটিতে কমপক্ষে একশ’ বেড সম্পন্ন সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিটি উপজেলার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মত স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত করার জন্য দ্রæত ভবন রিকুইজিশন দিতে ৮ উপজেলার ইউএনওদের কাছে ইতিপূর্বে পত্র পাঠানো হয়েছে।
প্রতিটি উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত করে এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। প্রেরিত উক্ত পত্রে বলা হয়েছিল, কমপক্ষে ১শ’ বেডের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন তৈরির জন্য এক বা একাধিক ভবন রিকুইজিশন করতে হবে। গত বুধবারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে হবে।
যেসব ব্যক্তি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না, জেলা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পরামর্শ সাপেক্ষে তাদেরকে প্রস্তুতকৃত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে স্থানান্তর করা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তির খাওয়া দাওয়ার ব্যয় নিজেকেই বহন করতে হবে। তবে থাকার জন্য কোন টাকা দিতে হবে না।
সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে পরামর্শ করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসক, চিকিৎসা সামগ্রী ইত্যাদি নিশ্চিত করতে পত্রে বলা হয়েছে।
এদিকে সিভিলসার্জন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রভাব পর থেকে কক্সবাজারে কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৬০জন ইতোমধ্যে মুক্ত হয়েছেন। এই ৬০ জনের অধিকাংশই বুধবার কোয়ারেন্টাইন সময় শেষ হয়েছে। অন্যদিকে নতুন করে আনাসহ আরো ৩২৪জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান এই তথ্য জানান।
সিভিলসার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, করোনার প্রভাব শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই সংখ্যা সর্বোচ্চ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪। জেলার প্রতিটি উপজেলায় ছিলো কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণ লোকজন। এর মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশই প্রবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন